জয়নগর, 13 নভেম্বর: সোমবার সাতসকালে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুনের ঘটনায় ধুন্ধুমার কাণ্ড জয়নগরে ৷ জানা গিয়েছে, আততায়ীরা বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়াখাঁটি গ্রামের বাসিন্দা । তাই তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার পরই আক্রোশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ওই গ্রামে ৷ দাউদাউ করে জ্বলেছে গোটা গ্রাম । এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ গ্রেফতার হয়েছেন অপর অভিযুক্ত ৷
গ্রামের বাড়ি ঘর, গাছপালা দোকান সব পুড়ে গিয়েছে । কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ । মজুত রাখা ধান ও ধানের গোলা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে । এক প্রকার পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে গোটা গ্রাম । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে আততায়ীরা গুলি চালিয়েছেন তাঁরা এই গ্রামেরই বাসিন্দা । খুনের পর আক্রোশ থেকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামের বাড়িগুলি । ভাঙচুর হয়েছে ঘরের টেবিল-চেয়ার । রান্নাঘরের যাবতীয় আসবাব পত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে ।
এলাকায় পুলিশ পৌঁছলেও এখনও পর্যন্ত দমকলের কোনও ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়নি বলে খবর । যেহেতু গ্রামীণ এলাকা, ফলে রাস্তাঘাট অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় পৌঁছতে পারেনি দমকলের কোনও ইঞ্জিন । তবে আগুন নেভাতে মাঠে নেমেছেন গ্রামের মহিলারাই । পুকুর থেকে বালতি নিয়ে জল তুলে বাড়িঘরে ঢালা হচ্ছে । শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন তাঁরা ।
বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, যিনি অভিযুক্ত, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে । অভিযুক্ত স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি খুন করেছেন । উল্লেখ্য, বাড়ি থেকে বেরনোর পরপরই সোমবার গুলিতে খুন হন সইফুদ্দিন লস্কর (43)। সেই সময় পাঁচজন দুষ্কৃতী সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ । ঘটনাস্থলেই ঝাঁঝরা হয়ে যান ওই তৃণমূল নেতা । গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা । তাঁরা এসে দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন । এর মধ্যে এক অভিযুক্তকে তাঁরা ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ । অপর এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হন পুলিশের হাতে ।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধী দলের লোকজন এই খুনের পিছনে রয়েছেন । ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে এলাকা । একের পর এক বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হয় বলে অভিযোগ । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: