বুধাখালি, 27 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের (TMC Factionalism) জেরে টানা দু'বছর ধরে পঞ্চায়েতে আসছেন না উপপ্রধান । পঞ্চায়েতের উপপ্রধান না-আসায় থমকে গিয়েছে এলাকার বেশ কিছু উন্নয়নের কাজ । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের অন্তর্গত বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতে (Budhakhali Gram Panchayat) ৷ উপপ্রধান সোনা দোলই ও প্রধান বানেশ্বর দাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব ৷ আর এর জেরেই টানা দু'বছর ধরে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আসছেন না উপপ্রধান । সোনা দোলইয়ের অভিযোগ, তাঁকে কোনওরকম কাজ করতে দেওয়া হয় না পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে । অভিযোগ, প্রধান বানেশ্বর দাস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বাবলু প্রধান তাঁর বুথ-সহ বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনওরকম কাজ করতে দেন না সোনা দোলইকে বলেও ।
এমনকী বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বেশিরভাগ যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয় । আর সেই ঘটনার প্রতিবাদ করলে পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে তাঁকে বের করে দেয় পঞ্চায়েতের প্রধান বানেশ্বর দাস । এমনই অভিযোগ করেছেন উপপ্রধান স্বয়ং নিজেই । বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনওরকম সরকারি কাজ উপপ্রধানকে করতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ উপপ্রধানের। তাই টানা দু'বছর ধরে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন উপপ্রধান সোনা দোলই । অপরদিকে বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সোনা দোলইয়ের সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে বলে দাবি করছেন প্রধান বানেশ্বর দাস এবং বুধাখালি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাবলু প্রধান।
উপপ্রধান সোনা দোলই বলেন, "আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না ৷ ঝড়ের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা না-দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে ৷ আমার বুথে এই অনৈতিক কাজ করছে ৷ এর প্রতিবাদ করেছিলাম আমি ৷ তাই আমাকে পঞ্চায়েত থেকে হাত ধরে বের করে দেন প্রধান বানেশ্বর দাস ৷ বলে তোমার এখানে কোনও কাজ নেই ৷ তারপর থেকেই আমি আর পঞ্চায়েতে যাই না ৷ "
তবে গোটা ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করছে বিরোধীরা । বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে গোষ্ঠীকন্দল ৷ আর তার জেরে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে । সাধারণ মানুষের কথা তৃণমূল কংগ্রেস কোনওদিন ভাবেনি ৷ আর ভাববেও না ৷ নিজেদের আখের গোছাতে এরা ব্যস্ত । একই দলের দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব অবিলম্বে মিটিয়ে নিয়ে এলাকার মানুষের উন্নয়নের কাজে এগিয়ে আসুক বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান। সেটাই চাইছে এলাকার মানুষজন ৷
আরও পড়ুন: ফের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বাসন্তী, জখম তৃণমূল কর্মী