ভাঙড়, 15 জুন: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে ভাঙড়ে । আজ নিয়ে মোট তিন দিন ধরে ভাঙড়ে জারি রয়েছে 144 ধারা । ফলে গোলা-বারুদ এবং পুলিশ বাহিনীর মাঝে পড়ে দোকানপাট প্রায় তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ভাঙড়ে । ফলে সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ছোট ব্যবসায়ীদের । তবে ভাঙড়ের যে ভয়ানক পরিস্থিতি ছবি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে এবং এত পুলিশ বাহিনী ঘটনা স্থলে রয়েছেন তার জন্য প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা মুখ খুলতে চাইছেন না ।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এই এলাকায় 144 ধারা জারি রয়েছে ৷ তার জন্য দোকানপাট খোলা যাবে না ৷ যদি কোনও ব্যবসায়ী দোকান খোলেন তাহলে পুলিশ তাদের ধরে থানায় নিয়ে যাচ্ছে ৷ যদি 144 ধারা জারি করার ফলে তাঁরা ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখেন তাহলে সেই 144 ধারা জারি থাকা এলাকায় কীভাবে দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে হাতে বাঁশ-বন্দুক-বোমা নিয়ে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াতে পারছেন ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ীর কথায়,"তিনদিন ধরে দোকান বন্ধ ৷ ফলে আজ কী খাব তা জানি না ৷ কারণ সংসারে উপার্জন কার্যত বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি ।" এছাড়াও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দোকান বন্ধ থাকার ফলে সেখানে দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিচ্ছে ৷ কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার দোকানের দরজা ভেঙে তারা সেখানে ঢুকছে এবং অবাধে লুটপাট চালাচ্ছে । আর এক্ষেত্রে পুলিশ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে ।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ভাঙড়ের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । মনোনয়ন পেশ করাকে কেন্দ্র করে শাসকদল সমর্থক এবং আইএসএফের সমর্থকরা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে আইএসএফ এবং তৃণমূল সমর্থকরা বোমা ছুড়তে থাকে বলে পুলিশের অভিযোগ ।
ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিমাণে পুলিশ এবং র্যাফ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করে স্থানীয় কাশীপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বারুইপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর ৷
আরও পড়ুন : মনোনয়নের শেষদিনেও রণক্ষেত্র ভাঙড়, গুলিতে মৃত এক আইএসএফ কর্মী