ভাঙড়, 7 নভেম্বর : আশঙ্কাই সত্যি হল ৷ পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ধর্মীয় কর্মসূচি ঘিরে রবিবার দুপুরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড় ৷ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালেন আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকরা ৷ অশান্তি থামাতে রাস্তায় নেমে লাঠিচার্জ করল পুলিশও ৷ ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী ৷ পুলিশের ভূমিকায় সরব স্থানীয় বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি ৷
আরও পড়ুন : TMC-ISF Clash : আব্বাসের সভার আগে উত্তপ্ত ভাঙড়, হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল
রবিবার ছিল নবি দিবস ৷ এই উপলক্ষেই এদিন দুপুরে স্থানীয় একটি মাঠে ধর্মীয় সভা করার কথা ছিল আব্বাসের ৷ আইএসএফ-এর অভিযোগ, এই কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে শনিবার থেকেই মাঠে নামে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ বেছে বেছে আইএসএফ নেতা ও কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় তারা ৷ ঘটনার জেরে রবিবার সকাল থেকেই থমথমে ছিল গোটা এলাকা ৷ অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশবাহিনী ৷ এলাকায় ছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারাও ৷
কথা ছিল, দুপুর দু’টো নাগাদ ভাঙড় থানা এলাকার পদ্মপুকুর গ্রামে সভা করবেন আব্বাস সিদ্দিকি ৷ কিন্তু, যে মাঠে সভা হওয়ার কথা ছিল, এদিন সেখানেই ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ এদিকে, প্রস্তাবিত সভাস্থলে যাওয়ার পথেই ভোজের হাটে আব্বাসের গাড়ি আটকায় পুলিশ ৷ অভিযোগ, তাঁকে সভায় যেতে বাধা দেওয়া হয় ৷ অন্যদিকে পুলিশের দাবি, আব্বাসের সভার কোনও প্রশাসনিক অনুমতিই নেওয়া হয়নি ৷ ফলে সভা করতে দেওয়া সম্ভব নয় ৷ যদিও আব্বাস, তাঁর অনুগামী এবং আইএসএফ নেতৃত্বের অভিযোগ, পুলিশ আসলে পরিকল্পনা মাফিক এই ধর্মীয় কর্মসূচি বানচাল করেছে ৷ আর এর জন্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : ভাঙড়ে সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে প্রশাসনের তরফে ভাঙা হল দোকান
সভায় যেতে না পেরে মাঝরাস্তাতেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন আব্বাস ৷ রাস্তার মাঝখানেই ভাষণ দিতে শুরু করেন তিনি ৷ অন্যদিকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা ৷ পাল্টা পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে ৷ বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয় ৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ এদিনের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, দেশের সংবিধান সকল নাগরিককে ধর্ম পালনের অধিকার দিলেও বহু ক্ষেত্রে তা লঙ্ঘিত হচ্ছে ৷ গণতান্ত্রিকভাবেই এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার ডাক দিয়েছেন নওশাদ ৷