সোনারপুর, 31 অক্টোবর: কথা বলার ফাঁকেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলায় কোপ ৷ নিমেশে স্ত্রীর মাথা শরীর থেকে আলাদা হয়ে গেল। হাড়হিম করা ঘটনা সোনারপুরের শীতলা এলাকায় । স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে স্বামী । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মালা বসু (30)। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।
জানা গিয়েছে, পনেরো বছর আগে সমীর মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় মালা বসুর । সমীর এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন । কিন্তু সেভাবে ব্যবসায় কোনও আয় উন্নতি ছিল না তাঁর । ধারদেনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি । এই নিয়ে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত সংসারে । তারপরেই মালা কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ একটি কলসেন্টারে কাজে ঢোকেন তিনি । এরপর বাবার বাড়িতে চলে আসেন মালা । সেখান থেকেই অফিস করছিলেন তিনি ।
সোমবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে বসে সবে টিফিন খাওয়া শুরু করেছিলেন বছর তিরিশের মালা বসু । সে সময়েই স্বামী সমীর মণ্ডল তাঁর বাপের বাড়িতে এসে হাজির নন । একটা কথা বলার আছে, এই অছিলায় তিনি স্ত্রীকে ডাকেন ৷ মালা তাঁকে ঘরে ঢুকে আসতে বলেন ৷ পায়ে জুতো রয়েছে, এই বলে মালাকে গেটের বাইরে ডেকে নিয়ে যান স্বামী । এরপরেই কথা বলার মাঝে মালাকে ছুরি দেয়ে কোপানোর অভিযোগ সমীরের বিরুদ্ধে । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মালার । রাতেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ সমীরের । পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে । ঘটনার তদন্ত চলছে ।
আরও পড়ুন: মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার, খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
মালার পরিবারের দাবি, সমীর মালার কাছ থেকে টাকা চাইতেন । সমীরের সন্দেহ ছিল, মালা একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন । তা নিয়ে দু'জনের মধ্যে অশান্তি আরও বাড়ে । অভিযোগ, সমীর মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে মালাকে জোর করে শারীরিক নিগ্রহ করতেন । তাঁকে মারধরও করতেন । তাঁদের 15 বছরের একটি মেয়েও রয়েছে । সমীরকে ছেড়ে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন মালা । তাঁকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন তিনি । কিন্তু সমীর তা মানতে চাননি । এর আগেও নাকি গত বছর স্ত্রীকে খুন করতে অ্যাসিড নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন সমীর ৷ এমনটাই মালার বাড়ির লোকের অভিযোগ ।