নরেন্দ্রপুর, 20 সেপ্টেম্বর : নরেন্দ্রপুরের রামকৃষ্ণপল্লি থেকে উদ্ধার যুবতির ঝুলন্ত মৃতদেহ ৷ মৃতের নাম স্বপ্না বৈদ্য । অভিযোগ, সম্পত্তির লোভেই স্বপ্নাকে খুন করেছে তাঁর স্বামী ড্যানি বৈদ্য ওরফে রাজ ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ ৷ ড্যানিকে আটক করা হয়েছে ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷
নরেন্দ্রপুরের কুসুম্বার বাসিন্দা স্বপ্নার সঙ্গে বছর দশেক আগে মগরাহাটের বাসিন্দা ড্যানির বিয়ে হয় । ড্যানি পেশায় ডেকরেটার্স কর্মী । বছর তিরিশের স্বপ্না স্থানীয় একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন । দম্পতির বছর আটেকের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে ৷ সে হস্টেলে থাকে । গতকাল ভোরেই কাজে বেরিয়ে গেছিলেন স্বামী ৷ বাড়িতে একা ছিলেন স্বপ্না ৷ সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করলে কোনও সাড়া মেলেনি ৷ শেষমেশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা ৷ দেখে খাটের উপরে পড়ে রয়েছে গামছা, চাদর ৷ পাশে ওলটানো চেয়ার ৷ ঝুলছেন স্বপ্নাদেবী ৷ তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ অভিযোগ, সম্পত্তির লোভেই স্ত্রীকে খুন করেছে ড্যানি ৷ বাবারবাড়ির লোকেদের বক্তব্য, স্থায়ী বাড়ির জন্য সম্প্রতি স্বপ্নার বাবা দু'কাঠা জমি লিখে দিয়েছেন মেয়েকে । সেই জমি নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল ড্যানি । সেই কাজ না হওয়াতেই স্বপ্নাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে দেয় সে ৷ বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিল ড্যানি ৷
অন্যদিকে স্বপ্নার মা বলেন, "ড্যানির অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ৷ দু'জনের মধ্যে ঝামেলা প্রায়ই লেগে থাকত ৷ এই জন্যই আমার মেয়েকে খুন হতে হয়েছে ৷"
ড্যনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ । এটা নিছকই আত্মহত্যা না পরিকল্পিত খুন তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷