মন্দিরবাজার,7 মার্চ: দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল দুই স্ত্রী'কে কেন্দ্র করে। সেই সমস্যা মেটাতেই শেষমেশ দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও শিশুকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানা এলাকার দিগবেড়িয়াতে। সোমবার সকালে সন্তান-সহ মৃতদেহ করা উদ্ধার হয় স্থানীয় একটি মাঠের জলাভূমি থেকে। মৃত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা গত মঙ্গলবার মন্দিরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত স্বামী আজিজুল জমাদারকে গ্রেফতার করেছে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। জেরায় দোষ স্বীকার করে নেয় আজিজুল (Husband arrested for murdering wife and child)৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন আগে আজিজুলের বিয়ে হয়। কিন্তু ট্রেনে যাতায়াত করার সময় পরিচয় হয় পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা বছর তেইশের তুহিনা বিবির সঙ্গে। পরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হওয়ায় বিয়ের পথে হাঁটেন দু'জন। দ্বিতীয় পক্ষের একটি সন্তান হয় আজিজুলের। কিন্তু প্রথম থেকেই বাড়িতে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সরব হতে থাকেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। দীর্ঘ টানাপোড়েনের মধ্যেই সন্তানকে নিয়ে তুহিনা বাপের বাড়ি চলে আসেন। তবে মাঝেমধ্যে আসতেন শ্বশুরবাড়িতে । যদিও দুই সতীনের মধ্যে এই নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। অভিযোগ, সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে আজিজুল-তুহিনার সন্তান। সেই অসুস্থতার কথা স্বামীকে জানায় তুহিনা। এরপরই মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর অছিলায় তুহিনাকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি আসার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তুহিনা ও তাঁর মেয়ে।
আরও পড়ুন:যুবতির দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
এরপর সোমবার হঠাৎই দু'জনের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এলাকার একটি মাঠের ধারের জলাভূমি থেকে। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। বুধবার ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার এসিজিম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। মৃতের পরিবারে আভিযোগ, ''আজিজুল খুন করেছে। ডাক্তার দেখানোর নাম করে ডেকে এনেছিল ওদের। আমরা অভিযুক্তর ফাঁসি চাই''।