বজবজ, 5 জুন: কাশ্মীরি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার এ রাজ্যের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে । মৃত ছাত্রের নাম উমর গনি (26)। জানা গিয়েছে, 2 জুন দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অন্তর্গত বজবজ থানার আওতাধীন একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেল থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ । কিন্তু কেন এই কাশ্মীরি ছাত্র আচমকাই হোস্টেলে আত্মহত্যা করতে গেল সেই নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন । যদিও ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ বলছে এখনই এটি আত্মহত্যা বলা যাবে না । এখনও পর্যন্ত স্থানীয় বজবজ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে ।
এই বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার জেলার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী বলেন, "সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আমরা প্রথম এই ঘটনাটি জানতে পারি । দেহটি হোস্টেলে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় । পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । দেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে । যদিও তার রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি ৷ ঘটনায় মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছিলাম । মৃতের পরিবারের সদস্যরা থানায় কোনও ধরনের অভিযোগ দায়ের এখনও পর্যন্ত করেননি ।"
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি ঘটার পর জম্মু কাশ্মীর থেকে মৃতের পরিবার কলকাতায় এসে বজবজ থানায় যোগাযোগ করেন । ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে মৃতের পরিবার কথা বলার পর তাদের থেকে পুলিশ নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে । পরে মৃতদেহটি পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় । এরপরে তারা মৃতদেহটি নিয়ে কলকাতা থেকে বিমানে করে দিল্লি যান পরে দিল্লি থেকে বিমানে করে দেহটি নিয়ে তারা জম্মু-কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে হয়েছেন ।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে বজবজ থানার পুলিশ হস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন । সঠিক কী কারণে ওই পড়ুয়া এই ঘটনা ঘটালো তা এখনও স্পষ্ট নয় । পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মৃতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে । কী কারণে এই ঘটনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে । যেহেতু সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হোস্টেলে এই দেহ উদ্ধার হয়েছে ফলে র্যাগিংয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা । ফলে ওই ছাত্রের সহপাঠীদের এবং সংশ্লিষ্ট হোস্টেলের আবাসিকদের সঙ্গেও পৃথক পৃথকভাবে কথা বলছেন তদন্তকারীরা ।
আরও পড়ুন : ঠাকুমা ও নাতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য মহেশতলায়