মহেশতলা, 12 মে: বাড়ির মধ্যে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার ঠাকুমা ও নাতির দেহ । শুক্রবার দক্ষিণ 24 পরগনার মহেশতলার জিনজিরা বাজার এলাকার ঘটনা । তাঁদের খুন করা হয়েছে নাকি অন্য কিছু, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ । মৃতের নাম মায়া মণ্ডল ও সনু মণ্ডল ৷ বেহালা বিদ্যাসাগর হসপিটালের চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছেন ৷
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ এক গৃহশিক্ষক পড়াতে আসেন সনুকে । তিনি দেখেন একতলার ঘরের দরজা খোলা । ঘরের ভিতর ঢুকে আঁতকে ওঠেন গৃহশিক্ষক । দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে মধ্যে পড়ে রয়েছেন ঠাকুমা মায়া মণ্ডল এবং তাঁর সাত বছরের নাতি ৷ ঠাকুমা-নাতির দু‘জনের মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । তিনিই প্রতিবেশীদের ঘটনাটি জানান । জিনজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হয় । ঘটনাস্থলে আসেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএসপি (শিল্প)-সহ মহেশতলা থানার পুলিশ আধিকারিকরা । দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভারি কিছু বস্তু দিয়ে মাথায় মেরেই খুন করা হয়েছে তাঁদের । তবে কে বা কারা এই কাজ করল, তা এখনও স্পষ্ট নয় ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মায়া দেবীর স্বামী তারক মণ্ডল দীর্ঘদিন অসুস্থ ৷ তিনি ঘরেই ছিলেন । তবে তিনি থাকতেন দোতলায় । তাঁদের পুত্র শেখর মণ্ডল বাড়ির কাছেই একটি ধূপকাঠি কারখানায় কাজ করেন । প্রতিদিনের মতো এদিন তিনি কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন । শেখরের প্রথম স্ত্রী পারিবারিক অশান্তিতে প্রায় বছর দেড়েক আগে বাপের বাড়ি চলে যান । আবারও বিয়ে করেছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: ডাইনি অপবাদে ঠাকুমার মুণ্ডু কেটে হত্যায় দোষীকে মৃত্যুদণ্ড ঝাড়গ্রাম আদালতের
মৃত মায়া মন্ডলের বৌদি বুবু নস্করের অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে অশান্তির জেরেই এই খুন । কারণ তারক মণ্ডলের ছেলে শেখর মণ্ডল দু‘টো বিয়ে ৷ প্রথম স্ত্রী 2019 সালে তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷ এরপর শেখর আবার একটি বিয়ে করে ৷ তাদের মধ্যে থেকেই কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পরে ৷