ETV Bharat / state

Gangasagar Mela: শুরু হল ড্রেজিং ও নদীবাঁধ মেরামতি ! সেজে উঠছে গঙ্গাসাগর

শুরু হয়ে গেল গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela) প্রস্তুতি ৷ নদীতে ড্রেজিং-এর কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর ৷ মেলার আগেই এ বার আধুনিক টেট্রাপট পদ্ধতিতে নদী বাঁধগুলি মেরামতির কাজও শুরু হয়েছে ৷

Gangasagar is getting ready for the fair
শুরু হল ড্রেজিং ও নদীবাঁধ মেরামতি ! মেলার জন্য সেজে উঠছে গঙ্গাসাগর
author img

By

Published : Nov 3, 2022, 7:00 PM IST

গঙ্গাসাগর, 3 নভেম্বর: কথায় আছে 'সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার ৷' কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা বর্তমানে সুগম হওয়ার কারণে এই চিরাচরিত মিথ এখন অতীত । বিশ্বদুয়ারে স্থান পেয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা ৷ তাই এখন বলাই যায়, 'সব তীর্থ একবার গঙ্গাসাগর বার বার'। কয়েক মাসের অপেক্ষা, তারপরেই শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে ৷

কিছুদিন আগেই গঙ্গাসাগর মেলার (South 24 Parganas News) প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যান দক্ষিণ 24 পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা । এ বার মেলার জন্যই শুরু হয়ে গেল নদীতে ড্রেজিং-এর কাজ । 2023 গঙ্গাসাগর মেলার জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং-এর কাজ করবে সেচ দফতর । আনুমানিক কুড়ি কোটি টাকা ব্যয় হবে এই ড্রেজিং-এর কাজে ।

এতদিন পর্যন্ত ড্রেজিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে চুক্তির মাধ্যমে সেচ দফতর এই কাজ চালাত ৷ কিন্তু সেই কাজে দেখা গিয়েছে একাধিক গাফিলতি । তাই এ বার সেচ দফতর নিজের উদ্যোগেই করবে এই কাজ । গঙ্গাসাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয় । যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই মুড়িগঙ্গা নদী ৷ এটি পেরিয়েই যেতে হয় গঙ্গাসাগরে । যে সমস্ত পুণ্যার্থীরা বাবুঘাট হয়ে ডায়মন্ড হারবারের উপর দিয়ে গঙ্গাসাগরে পৌঁছন, তাঁদের লট নং 8 ভেসেল পেরিয়ে পৌঁছতে হয় গঙ্গাসাগরে ।

অন্যদিকে, যে সব পুণ্যার্থী শিয়ালদা হয়ে কাকদ্বীপ নামখানা ট্রেনপথের মাধ্যমে এসে পৌঁছন চেমাগুড়ি ঘাটে, সেখান থেকে তাঁদের যেতে হয় গঙ্গাসাগরে । আর তাই মুড়িগঙ্গা নদীর ড্রেজিং-এর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে সেচ দফতর । গত দু'বছর করোনার জেরে পুণ্যার্থীদের সমাগম খুব একটা বেশি হয়নি । কিন্তু এখন পরিস্থিতি আগের থেকে স্বাভাবিক হয়েছে ৷ এ বছর গঙ্গাসাগর মেলাতে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা । অস্থায়ী হেলিপ্যাডকে স্থায়ীকরণ করার ব্যবস্থাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে । প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে একাধিক নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় চিন্তার মুখে পড়েছিল প্রশাসন ৷ গঙ্গাসাগর মেলার আগে কীভাবে সেই নদীবাঁধ মেরামত করা হবে, তা নিয়েই একাধিক বৈঠক করা হয় । আর এ বার টেট্রাপট পদ্ধতিতে অতি শীঘ্রই গঙ্গাসাগর মেলার আগেই নদী বাঁধগুলি মেরামতের কাজ শুরু হল ।

আরও পড়ুন: সাগর জুড়বে 4-লেন সেতু, রাইটসের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন

কী এই আধুনিক ট্রেটাপট পদ্ধতি ? এই পদ্ধতি কংক্রিটের পিলারের মাধ্যমে নদীর জলস্রোতকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম । যাকে ইঞ্জিনিয়ারিং পরিভাষায় বলা হয় ওয়েব ব্রেকার । অর্থাৎ নদীবাঁধ থেকে 100 মিটার দূরে কংক্রিটের পিলারের মাধ্যমে করা হয় এই টেট্রাপট নদীবাঁধ । এগুলি জোয়ারের সময় নিজে থেকেই ডুবে থাকে ৷ ভাটার সময় নদীর যে টান থাকে, তাকে অনেকটাই রোধ করতে সক্ষম হয় এই বাঁধ ।

সেজে উঠছে গঙ্গাসাগর

আর তাই এ বার 2023- এর গঙ্গাসাগর মেলার আগে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে এই টেট্রাপট নদীবাঁধকে ৷ যেখানে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দিরের সামনেই শিবিরের 2 নম্বর গেট থেকে 100 মিটার দূরে 550 মিটারের এই টেট্রাপট নদীবাঁধ তৈরি করা হবে । যা অনেকটাই মুড়িগঙ্গা নদীর জলস্রোতকে রক্ষা করতে পারবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা । কেন্দ্রের কাছে বারে বারে আবেদন জানানোর পরেও পাকা নদীবাঁধের ছাড়পত্র না মেলায় গঙ্গাসাগর মেলার আগে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৷ আর এই পদ্ধতিতে কাজ করলে আগামী দিনে সেচ দফতরের মাধ্যমে বিভিন্ন নদীবাঁধ এই ভাবেই মেরামত করা হবে বলে জানানো হয়েছে । তাই 2023-এর গঙ্গাসাগর মেলার আগে কোনও গাফিলতি রাখতে চায় না জেলা প্রশাসন ।

গঙ্গাসাগর, 3 নভেম্বর: কথায় আছে 'সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার ৷' কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা বর্তমানে সুগম হওয়ার কারণে এই চিরাচরিত মিথ এখন অতীত । বিশ্বদুয়ারে স্থান পেয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা ৷ তাই এখন বলাই যায়, 'সব তীর্থ একবার গঙ্গাসাগর বার বার'। কয়েক মাসের অপেক্ষা, তারপরেই শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে ৷

কিছুদিন আগেই গঙ্গাসাগর মেলার (South 24 Parganas News) প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যান দক্ষিণ 24 পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা । এ বার মেলার জন্যই শুরু হয়ে গেল নদীতে ড্রেজিং-এর কাজ । 2023 গঙ্গাসাগর মেলার জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং-এর কাজ করবে সেচ দফতর । আনুমানিক কুড়ি কোটি টাকা ব্যয় হবে এই ড্রেজিং-এর কাজে ।

এতদিন পর্যন্ত ড্রেজিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে চুক্তির মাধ্যমে সেচ দফতর এই কাজ চালাত ৷ কিন্তু সেই কাজে দেখা গিয়েছে একাধিক গাফিলতি । তাই এ বার সেচ দফতর নিজের উদ্যোগেই করবে এই কাজ । গঙ্গাসাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয় । যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই মুড়িগঙ্গা নদী ৷ এটি পেরিয়েই যেতে হয় গঙ্গাসাগরে । যে সমস্ত পুণ্যার্থীরা বাবুঘাট হয়ে ডায়মন্ড হারবারের উপর দিয়ে গঙ্গাসাগরে পৌঁছন, তাঁদের লট নং 8 ভেসেল পেরিয়ে পৌঁছতে হয় গঙ্গাসাগরে ।

অন্যদিকে, যে সব পুণ্যার্থী শিয়ালদা হয়ে কাকদ্বীপ নামখানা ট্রেনপথের মাধ্যমে এসে পৌঁছন চেমাগুড়ি ঘাটে, সেখান থেকে তাঁদের যেতে হয় গঙ্গাসাগরে । আর তাই মুড়িগঙ্গা নদীর ড্রেজিং-এর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে সেচ দফতর । গত দু'বছর করোনার জেরে পুণ্যার্থীদের সমাগম খুব একটা বেশি হয়নি । কিন্তু এখন পরিস্থিতি আগের থেকে স্বাভাবিক হয়েছে ৷ এ বছর গঙ্গাসাগর মেলাতে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা । অস্থায়ী হেলিপ্যাডকে স্থায়ীকরণ করার ব্যবস্থাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে । প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে একাধিক নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় চিন্তার মুখে পড়েছিল প্রশাসন ৷ গঙ্গাসাগর মেলার আগে কীভাবে সেই নদীবাঁধ মেরামত করা হবে, তা নিয়েই একাধিক বৈঠক করা হয় । আর এ বার টেট্রাপট পদ্ধতিতে অতি শীঘ্রই গঙ্গাসাগর মেলার আগেই নদী বাঁধগুলি মেরামতের কাজ শুরু হল ।

আরও পড়ুন: সাগর জুড়বে 4-লেন সেতু, রাইটসের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন

কী এই আধুনিক ট্রেটাপট পদ্ধতি ? এই পদ্ধতি কংক্রিটের পিলারের মাধ্যমে নদীর জলস্রোতকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম । যাকে ইঞ্জিনিয়ারিং পরিভাষায় বলা হয় ওয়েব ব্রেকার । অর্থাৎ নদীবাঁধ থেকে 100 মিটার দূরে কংক্রিটের পিলারের মাধ্যমে করা হয় এই টেট্রাপট নদীবাঁধ । এগুলি জোয়ারের সময় নিজে থেকেই ডুবে থাকে ৷ ভাটার সময় নদীর যে টান থাকে, তাকে অনেকটাই রোধ করতে সক্ষম হয় এই বাঁধ ।

সেজে উঠছে গঙ্গাসাগর

আর তাই এ বার 2023- এর গঙ্গাসাগর মেলার আগে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে এই টেট্রাপট নদীবাঁধকে ৷ যেখানে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দিরের সামনেই শিবিরের 2 নম্বর গেট থেকে 100 মিটার দূরে 550 মিটারের এই টেট্রাপট নদীবাঁধ তৈরি করা হবে । যা অনেকটাই মুড়িগঙ্গা নদীর জলস্রোতকে রক্ষা করতে পারবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা । কেন্দ্রের কাছে বারে বারে আবেদন জানানোর পরেও পাকা নদীবাঁধের ছাড়পত্র না মেলায় গঙ্গাসাগর মেলার আগে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৷ আর এই পদ্ধতিতে কাজ করলে আগামী দিনে সেচ দফতরের মাধ্যমে বিভিন্ন নদীবাঁধ এই ভাবেই মেরামত করা হবে বলে জানানো হয়েছে । তাই 2023-এর গঙ্গাসাগর মেলার আগে কোনও গাফিলতি রাখতে চায় না জেলা প্রশাসন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.