ডায়মন্ড হারবার, 10 অক্টোবর : এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ 24 পরগনার উস্তি থানার দেউলার নাজরারা মণ্ডলপাড়াতে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পড়ে জখম হয় উভয়পক্ষের 5 জন। এদের মধ্যে 2 জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ দু'জনকে ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে শুরু হয় সংঘর্ষ ৷ এলাকায় মুড়ি-মুড়কির মতো পড়তে থাকে বোমা। দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে জখম হয় ফটিক মণ্ডল(56) নামে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। গুরুতর জখম অবস্থায় ফটিক মণ্ডলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বানেশ্বরপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বানেশ্বরপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বর্তমানে ফটিক মণ্ডল ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফটিক মণ্ডল বলেন, "সন্ধ্যার দিকে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ সেই সময় আচমকা আমার মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়ি ৷ "স্থানীয়রা উদ্ধার করে বানেশ্বরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ফটিক মণ্ডলকে। অন্যদিকে দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষ পড়ে আহত হন সাইদুল মোকামি নামে এক ব্যক্তি ৷ পরে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: পুজোয় জেলার মানুষের নিরাপত্তার জন্য 'আস্থা' অ্যাপ, উদ্বোধনে অভিষেক
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি এলাকায় ৷ মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই যুবনেতা ইমরান হাসান ও জয়ন্ত চৌধুরীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। সেই বিবাদের জেরে এর আগেও একাধিকবার এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এইভাবে বোমাবাজি কখনও হয়নি। ঘটনায় মগরাহাটের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসুদ্দিন মোল্লা অবশ্য দাবি করেছেন, এরসঙ্গে শাসকদলের কোনও যোগ নেই। তিনি বলেন, "এই ঘটনায় দুই দুষ্কৃতীরা জড়িয়ে। ঘটনায় তৃণমূলের কেউ যুক্ত নেই। পুলিশ গোটা ঘটনা তদন্ত করছে।" যদিও, বিরোধী আইএসএফ শিবিরের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উস্তি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় কাউকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।