কাকদ্বীপ, 14 জুলাই : দীর্ঘ সাতদিনের লড়াই । ঘরে ফিরলেন মৎস্যজীবী রবীন্দ্রনাথ দাস । মুখে এক দীর্ঘ লড়াইয়ের ক্লান্তির ছাপ । চোখের নিচে কালশিটে । হাসপাতালের বেডে শুয়ে অস্ফুট স্বরে কিছু বলছেন । হয়ত বা মনে পড়ে যাচ্ছে মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ।
সেদিন সমুদ্রে ঝড়ে দুর্ঘটনায় পড়ার পর থেকেই চারটি ট্রলারের প্রায় 24 জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন । নিখোঁজ ছিলেন কাকদ্বীপের নারায়ণপুরের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ দাসও । উদ্ধারকাজ চললেও ঘরে ফেরার প্রায় সমস্ত আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা । কারণ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ছিল না কোনও লাইফ জ্যাকেট । ছিল না কোনও আধুনিক সরঞ্জামও ।
এই সংক্রান্ত খবর : ঝড়ের তাণ্ডবে বঙ্গোপসাগরে ডুবল 4টি ট্রলার, নিখোঁজ অনেকে
তবে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও হাল ছাড়েননি তিনি । কোনওরকমে ভেসেছিলেন । এভাবেই ভাসতে ভাসতে ঢুকে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের জল সীমানায় । সেখানে একটি জাহাজের নাবিকরা তাঁকে উদ্ধার করে ।
এই সংক্রান্ত খবর : বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করা ভারতীয় ট্রলার ফেরাল বাংলাদেশ !
গতকাল চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্রনাথকে । সেখান থেকে কাকদ্বীপে নিয়ে আসা তাঁকে । গতকালই কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় । রবীন্দ্রনাথকে দেখতে হাসপাতালে যান সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা । যান মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা বিজন মাইতিও ।
এই সংক্রান্ত খবর : লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই জলে পাঁচদিন! উদ্ধার দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের মৎস্যজীবী
চিকিৎসরা জানিয়েছেন, আপাতত সুস্থ রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ । তবে 72 ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে ।
এই সংক্রান্ত খবর : আর সাগরে যাব না, বললেন বেঁচে ফেরা ট্রলারের মৎস্যজীবী