ETV Bharat / state

superstition in Patharpratima: শিশুর দেহে প্রাণ ফেরাতে ঘর বন্ধ করে চললো প্রার্থনা ! শরীর খুবলে খেল পিঁপড়ে - family prayed to bring back life of dead child in patharpratima of south twenty 24 porgona

বেঁচে উঠবে এই আশায় 19 ঘণ্টা অন্ধকার ঘরে রেখে দেওয়া হল মৃত শিশুকে ৷ ফল যা হওয়ার তাই হল ৷ মৃতদেহ খুবলে খেল পিঁপড়ে (Brutality in Patharpratima) ৷ অন্ধকার ঘরে রেখে দেওয়ায় দেহটি গলতেও শুরু করে ৷ খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী ৷

superstition in Patharpratima
প্রাণ ফেরাতে ঘর বন্ধ করে চললো প্রার্থনা
author img

By

Published : Jul 22, 2022, 4:40 PM IST

পাথরপ্রতিমা, 20 জুলাই: প্রথমে প্রার্থনা তারপর দরজা বন্ধ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেখে দিলেই নাকি বেঁচে উঠবে শিশু ! এমনই দাবি করেছিলেন দীক্ষাগুরু ! তার কথায় বিশ্বাস করে একরত্তিকে ফিরে পেতে প্রায় 19 ঘণ্টা শিশুটিকে অন্ধকার ঘরেই রেখে দিয়েছিল পরিবার ৷ ফল যা হওয়ার তাই হল ৷ মৃতদেহ খুবলে খেল পিঁপড়ে (Patharpratima witnessed barbaric incident)! হাড় হিম করা এই ঘটনার সাক্ষী রইল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ৷ পাশাপাশি অন্ধকার ঘরে রেখে দেওয়ায় গরমে দেহটি গলতেও শুরু করে ৷ খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী ৷ অভিযুক্ত গুরুদেবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে পুকুরে পড়ে যায় বছর দুয়েকের গৌরব মাইতি ৷ মাধবনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পরই শুরু হয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। স্থানীয়দের সন্দেহ ওই এলাকার এক দম্পতি এবং তাদের দলবলই জানায় শিশুটিকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব ! এদের এলাকায় সবাই 'মন্ডলী' নামে ডাকে ৷ একথা শুনেই সন্তান বেঁচে উঠবে এই আশায় পরিবারও নানা কুসংস্কারমূলক কাজ করতে রাজি হয়ে যায় ৷ শিশুর মা ববিতা মাইতি জানান, সন্তানকে বাঁচিয়ে দেওয়া হবে এই বিধান দিয়ে গুরু তাঁদের মৃত শিশুকে ঘরের মধ্যে রাখতে বলেন। তারপর ওই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে বিকেল চারটে থেকে প্রায় রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলে কাছে প্রার্থনা। আরও পরে মণ্ডলীর লোকজন চলে যাওয়ার সময় ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে যান এবং বলে যান সারারাত দরজা খোলা যাবে না। ঘরের ভিতরে কেউ ঢুকতেও পারবে না। সকাল হলেই শিশু নাকি বেঁচে উঠবে !

ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী পাথরপ্রতিমা

আরও পড়ুন: তীব্র শোকযন্ত্রণা পেরিয়ে দেশের কনিষ্ঠতম প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

এভাবেই প্রায় ১৯ ঘণ্টা মৃত শিশুকে অন্ধকার ঘরে ফেলে রাখেন তাঁরা। কিন্তু, সে বেঁচে ওঠেনি। মৃত শিশুর ঠাকুমা ঝর্ণা মাইতি বলেন, "গুরুদেব বলেছিলেন প্রার্থনা করা হয়েছে। দরজা যেন কেউ না-খোলে। শিশু বেঁচে যাবে। কিন্তু বেলা গড়িয়ে গেলেও সাড়াশব্দ না-পেয়ে আমরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি ততক্ষণে পিঁপড়ে খুবলে খেয়েছে শিশুটির দেহ।"

তবে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মণ্ডলীর সদস্যরা। মণ্ডলীর এক মাথা দীপক মাইতি জানান, মৃত শিশুটির পরিবারই শিশুর সুস্থতায় প্রার্থনা করার জন্য আমাদের জোরাজুরি করে। অন্য এক সদস্য বলেন, "মরা মানুষ আমরা বাঁচাই না। পরমেশ্বর পিতার কাছে প্রার্থনা করে অসুস্থকে সুস্থ করে তুলি। সেরকম নজিরও রয়েছে। ওই শিশু মারা গিয়েছে তা আমরা জানতাম না।" গোটা ঘটনায় ফুঁসছেন এলাকাবাসী। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষকেই রুখে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পাথরপ্রতিমা, 20 জুলাই: প্রথমে প্রার্থনা তারপর দরজা বন্ধ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেখে দিলেই নাকি বেঁচে উঠবে শিশু ! এমনই দাবি করেছিলেন দীক্ষাগুরু ! তার কথায় বিশ্বাস করে একরত্তিকে ফিরে পেতে প্রায় 19 ঘণ্টা শিশুটিকে অন্ধকার ঘরেই রেখে দিয়েছিল পরিবার ৷ ফল যা হওয়ার তাই হল ৷ মৃতদেহ খুবলে খেল পিঁপড়ে (Patharpratima witnessed barbaric incident)! হাড় হিম করা এই ঘটনার সাক্ষী রইল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ৷ পাশাপাশি অন্ধকার ঘরে রেখে দেওয়ায় গরমে দেহটি গলতেও শুরু করে ৷ খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী ৷ অভিযুক্ত গুরুদেবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে পুকুরে পড়ে যায় বছর দুয়েকের গৌরব মাইতি ৷ মাধবনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পরই শুরু হয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। স্থানীয়দের সন্দেহ ওই এলাকার এক দম্পতি এবং তাদের দলবলই জানায় শিশুটিকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব ! এদের এলাকায় সবাই 'মন্ডলী' নামে ডাকে ৷ একথা শুনেই সন্তান বেঁচে উঠবে এই আশায় পরিবারও নানা কুসংস্কারমূলক কাজ করতে রাজি হয়ে যায় ৷ শিশুর মা ববিতা মাইতি জানান, সন্তানকে বাঁচিয়ে দেওয়া হবে এই বিধান দিয়ে গুরু তাঁদের মৃত শিশুকে ঘরের মধ্যে রাখতে বলেন। তারপর ওই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে বিকেল চারটে থেকে প্রায় রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলে কাছে প্রার্থনা। আরও পরে মণ্ডলীর লোকজন চলে যাওয়ার সময় ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে যান এবং বলে যান সারারাত দরজা খোলা যাবে না। ঘরের ভিতরে কেউ ঢুকতেও পারবে না। সকাল হলেই শিশু নাকি বেঁচে উঠবে !

ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী পাথরপ্রতিমা

আরও পড়ুন: তীব্র শোকযন্ত্রণা পেরিয়ে দেশের কনিষ্ঠতম প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

এভাবেই প্রায় ১৯ ঘণ্টা মৃত শিশুকে অন্ধকার ঘরে ফেলে রাখেন তাঁরা। কিন্তু, সে বেঁচে ওঠেনি। মৃত শিশুর ঠাকুমা ঝর্ণা মাইতি বলেন, "গুরুদেব বলেছিলেন প্রার্থনা করা হয়েছে। দরজা যেন কেউ না-খোলে। শিশু বেঁচে যাবে। কিন্তু বেলা গড়িয়ে গেলেও সাড়াশব্দ না-পেয়ে আমরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি ততক্ষণে পিঁপড়ে খুবলে খেয়েছে শিশুটির দেহ।"

তবে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মণ্ডলীর সদস্যরা। মণ্ডলীর এক মাথা দীপক মাইতি জানান, মৃত শিশুটির পরিবারই শিশুর সুস্থতায় প্রার্থনা করার জন্য আমাদের জোরাজুরি করে। অন্য এক সদস্য বলেন, "মরা মানুষ আমরা বাঁচাই না। পরমেশ্বর পিতার কাছে প্রার্থনা করে অসুস্থকে সুস্থ করে তুলি। সেরকম নজিরও রয়েছে। ওই শিশু মারা গিয়েছে তা আমরা জানতাম না।" গোটা ঘটনায় ফুঁসছেন এলাকাবাসী। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষকেই রুখে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.