বারুইপুর, 19 নভেম্বর: বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর খুনের পিছনে রয়েছেন তাঁর ছেলে ও স্ত্রী ৷ অন্তত এমনটাই মনে করছিলেন তদন্তকারীরা। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হল । নিহত উজ্জ্বল চক্রর্তীর স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয় উজ্জ্বলবাবুকে । পরে অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম দিয়ে দেহ 6 টুকরো করা হয় এবং তা বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয় সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে । তদন্তে নেমে পুলিশ উজ্জ্বলবাবুর বাড়ির সামনের পুকুর থেকে তাঁর দেহের একটি অংশ উদ্ধার করে (Baruipur Murder Case)। বাকি দেহাংশ কোথায়, তা খুঁজছে পুলিশ (Ex Navy personnel killed by wife and son in Baruipur)।
বারুইপুরের এই খুনের ঘটনায় অনেকেই দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ছায়া দেখছেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর উজ্জ্বল চক্রর্তীর স্ত্রী ও ছেলেকে জেরা করে জানা গিয়েছে, মদ খেয়ে স্ত্রী ও ছেলের উপরে অত্যাচার করতেন উজ্জ্বল । এতেই তাঁদের ক্ষোভ জমেছিল উজ্জ্বলের উপরে । গত সোমবার বচসা চলাকালীন উজ্জ্বলকে প্রথমে ধাক্কা দেওয়া হয় । তাতেই তিনি পড়ে যান । তখনই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । কিন্তু মৃতের স্ত্রী পুলিশে যে ডায়েরি করেছিলেন তাতে বলেছিলেন, ওইদিন সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ঘরে ফেরেননি উজ্জ্বলবাবু । পরে পুলিশ তদন্তে নেমে ওই দু'জনকে জেরা করলেও কিছু কবুল করতে চায়নি মা ও ছেলে । তবে পরে জেরায় ভেঙে পড়েন উজ্জ্বলের স্ত্রী ও ছেলে (wife and son killed man in Baruipur)।
আরও পড়ুন: রাতে হেঁটে আসছে আফতাব, হাতের প্যাকেট কি শ্রদ্ধার দেহাংশ ? তদন্তে পুলিশ
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে বারুইপুর-মল্লিকপুর রোডের ডিহি এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বল চক্রবর্তীর অর্ধেক দেহ । ঘটনার খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দেহাবশেষ উদ্ধার করে । কিন্তু 54 বছর বয়সি ওই প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দুটি হাত ও কোমরের নীচ থেকে শরীরের বাকি অংশের কোনও খোঁজ মেলেনি তখন । মৃতদেহের মুখও প্লাস্টিক দিয়ে আটকানো ছিল । গত 14 নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন উজ্জ্বল চক্রবর্তী । আগে নৌসেনাতে কর্মরত থাকলেও বর্তমানে তিনি একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন ।