কলকাতা, 21 এপ্রিল : ভাঙড়ের ভোগালি 2 পঞ্চায়েত প্রধান মোদ্দাসের হোসেনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট তলব হয়েছিল । তারপরই কড়া ব্যবস্থা নিল কমিশন । FIR দায়ের হল মোদ্দাসেরের বিরুদ্ধে । সূত্রের খবর, তাঁকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হতে পারে ।
পাশাপাশি তাঁকে আরও কড়া ভাষায় সেন্সর করেছে কমিশন । এর আগে তাঁকে সেন্সর করেছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর । কিন্তু, তাতে কোনও গুরুত্ব না দিয়ে ফের কর্মিসভায় অংশ নেন ভাঙড়ের ভোগালি 2 পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃণমূল নেতা মোদ্দাসের হোসেন । হুঁশিয়ারিও দেন । তাঁর এই মন্তব্য ধরা পড়ে কমিশনের মিডিয়া ওয়াচে। তারপরই দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা ইলেকশন অফিসারের কাছে রিপোর্ট তলব করে কমিশন । তারপরই আজ তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয় ।
কিছুদিন আগে তৃণমূলের কর্মিসভায় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, "পোস্টার, দেওয়াল লেখা তো দূরের কথা, বিরোধীরা কোনও বুথে যেন এজেন্টও বসাতে না পারে ।" তিনি আরও বলেন, "কেউ বলতে পারবে না কোনও কাজের জন্য পঞ্চায়েত থেকে ফিরে এসেছে । লুকিয়ে লুকিয়ে BJP-কে ভোট দেবে, আর বলবে রূপশ্রীতে সই করে দাও । কন্যাশ্রীতে সই করে দাও । তোমায় কী আমি আদর করব ? ওই সব আদরের আর সময় নেই ।"
এরপর ভাঙড়ে কৃষকদের চেক বিলি করার সময় তৃণমূলকে ভোট দিতে নির্দেশ দেন মোদ্দাসের । বলেন, "আমাদের এগারো হাজার ভোটার । প্রত্যেক ভোট যেন আমাদের বাক্সে পড়ে । এই চেক নিয়ে গিয়ে আবার যেন CPI(M)-কে ভোট দিয়ে দেবেন না । আমাদের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকেই ভোট দেবেন ।"
এই বক্তব্য নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে । তারপরই দক্ষিণ 24 পরগনা জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর । সেই রিপোর্ট পেয়ে প্রধান মোদ্দাসের হোসেনকে সেন্সর করে কমিশন । জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্দেশ না মানলে দেওয়া হবে কড়া শাস্তি ।
সেই কথা তোয়াক্কা না করেই শুক্রবার ভাঙড় 2 পঞ্চায়েত এলাকায় মিমি চক্রবর্তীর সমর্থনে তৃণমূলের কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি । সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, "বৃহস্পতিবার উত্তর বানিয়ালায় মিটিং করেছি । CPI(M) থেকে তৃণমূলে আসা কর্মীরা কথা দিয়েছে যেভাবে বামেদের আমলে জ়িরো ব্যালেন্স করে জিতিয়ে দিত, এবারও তাই করবে । আপনাদেরও তাই করতে হবে ।"
আরও পড়ুন : কমিশন সেন্সর করার পরও কর্মিসভায় 'হুঁশিয়ারি' তৃণমূল প্রধানের, রিপোর্ট তলব
বলেন, "এবার লোকসভা ভোট । এই ভোটের গুরুত্ব অনেক বেশি । একটা ভোট যদি এদিক-ওদিক পড়ে, তাহলে কিন্তু ক্ষতি হবে । আমরা কৃষকদের টাকা দিচ্ছি, পড়াশোনা, রাস্তাঘাটের টাকা দিচ্ছি । বিধবাদের সার্টিফিকেট দিচ্ছি । তাই কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছি যেভাবে বলব সেভাবে কাজ করতে হবে । এবার নয় নেভার ।"
