গোসাবা, 7 জুন: "ও কাকু একটু জল দেবে, জল ৷" নদীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ত্রাণবিলির নৌকো দেখে হাতজোর করে কাতর কণ্ঠে শিশুদের মিনতি ৷ এমন করুণ ছবি দেখা গেল সুন্দরবন গোসোবা কুমিরমারি দ্বীপে ৷
যশের ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ৷ এখনও বহু গ্রাম নোনা জলের তলায় । প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে খোলা হয়েছে কমিউনিটি কিচেন ও ত্রাণ শিবির । কিন্তু সর্বস্তরে মেটানো যাচ্ছে না পানীয় জলের সংকট ৷ এদিকে গভীর নলকূপগুলি এখনও ডুবে রয়েছে নোনা জলের তলায় । প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ কবলিত গ্রামবাসীদের জল ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হলেও বহু মানুষ এখনও ন্যূনতম ত্রাণ পায়নি ৷ অনেকেই বাঁধের উপরে ত্রিপল টাঙিয়ে জীবন কাটচ্ছেন । তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও ৷ বহু সংগঠনের পক্ষ থেকে দুর্গম এলাকায় পানীয় জল ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । সেভাবেই গোসাবার কুমিরমারি দ্বীপে ত্রাণ পৌঁছ দিতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষের চরম অসহায়তার সাক্ষী থাকল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ৷ সংগঠনের নৌকো খাবার ও জল বিলি করতে যাচ্ছিল আরেক গ্রামে ৷ কুমিরমারি দ্বীপের কাছে নৌকো পৌঁছতেই নদী তীর দাঁড়িয়ে থাকা ছোট ছেলেমেয়েদের কাতর কণ্ঠে মিনতি করল, "ও কাকু একটু জল দেবে, জল ৷"
আরও পড়ুন: আয়লা-আমফানের পর যশের ধ্বংসলীলা, অন্ধকারে সুন্দরবনের ভবিষ্যত্
প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি জানাচ্ছে, সুন্দরবনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গোসাবা, মৌসুনি, ঘোড়ামারা দ্বীপ ৷ উভয় তরফে নিয়মিত ত্রাণ পৌঁছে দিয়েও সব মানুষের পাশে দাঁড়ানো কঠিন হচ্ছে ৷