মগরাহাট, 9 এপ্রিল : মগরাহাটে জোড়া খুন । অভিযোগ, এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর বন্ধুকে পাওনা টাকা দেবার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে শনিবার সকালে খুন করে দুষ্কৃতীরা ৷ জানা গিয়েছে, প্রথমে গুলি করা হয় তাঁদের, তারপরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কেটে দেওয়া হয় তাঁদের (Double Murder In Magrahat) ৷ মৃত সিভিক ভলান্টিয়রের নাম বরুণ চক্রবর্তী (৩৫) ৷ তাঁর বন্ধুর নাম মলয় মাকাল (৩১) ৷ দু‘জনেই মগরাহাট থানার মাগুরপুকুর এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়দের দাবি, দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ জানে আলম অ্যান্ড কোম্পানি নামে স্থানীয় একটি সংস্থার ঘর থেকে উদ্ধার হয় । ওই সংস্থাটি গবাদি পশুর হাড় দিয়ে নানা জিনিসপত্র তৈরি করে ।
এই খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শনিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকা । দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্তের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী । উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে, ক্রমে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা ৷ রাস্তার উপর থাকা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ । পরে ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও মিতুন দের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এই ঘটনায় এলাকায় দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷
আরও পড়ুন : তপন কান্দু খুনে ক্লোজ পুলিশ কর্মীদের সিবিআইয়ের জেরা
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ অশান্তির সূত্রপাত । মাগুরপুকুর এলাকায় গরুর হাট বসে । সেখানেই টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বাঁধে । ওই সংস্থায় টাকা রেখেছিল বরুণ ও মলয়ও ৷ অভিযোগ, তাঁরা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের একটি দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে দোকানের শাটার নামিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা ৷ তারপর তাঁদের গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয় ৷ আর একটি সূত্রে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, পাওনা টাকা চাওয়ায় পরিকল্পনা করে ডেকে নিয়ে গিয়েই এদিন খুন করা হয়েছে বরুণ চক্রবর্তী ও মলয় মাকালকে ৷ বরুণ মগরাহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করতেন । দু’জনের দেহ উদ্ধারের পর ওই কারখানাতে অবশ্য কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি । পুলিশ নিহতদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও মিতুন দে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে । মূল অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে । দ্রুত গ্রেফতার করা হবে তাকে ।’’