ETV Bharat / state

Diamond Harbour Medical College: সাপের কামড়ে অকেজো কিডনি, প্রথমবার ডায়ালিসিসে শিশুর প্রাণ ফেরাল ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ

বিষাক্ত চন্দ্রবোড়ার ছোবলে প্রাণ সংশয় হতে বসেছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উস্তি থানার কুলেশ্বরের ফকিরপাড়া গ্রামের সাড়ে এগারো বছরের আজহার উল শেখের। গত 21 নভেম্বর বিষাক্ত ওই সাপ ছোবল মারে তার পায়ে। ওইদিনই তাকে ভরতি করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সিসিইউতে। শিশুবিভাগের (Children's Department) প্রধান ডা: সুমন্ত্র সরকার জানিয়েছেন, সাপে কামড়ানো ওই বালকের 'হেমোটক্সিক স্নেকবাইট' হওয়ায় তার দু'টি কিডনিই অকেজো হয়ে গিয়েছিল। প্রস্রাবও বন্ধ হয়ে যায় তার। ডায়ালিসিস ছাড়া বাঁচার আশা কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। কিন্তু এ 'অসম্ভব'কে সম্ভব করে দেখাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷

Diamond Harbour Medical College
প্রথমবার শিশুর ডায়ালিসিসে সফল ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল
author img

By

Published : Dec 8, 2022, 6:52 PM IST

ডায়মন্ড হারবার, 8 ডিসেম্বর: ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Diamond Harbour Medical College) বড়সড় সাফল্য। এতদিন হাসপাতালে শিশুদের ডায়ালিসিস (Pediatric Dialysis) বিভাগ ছিল না। প্রয়োজনে শিশু রোগীদের পাঠানো হত কলকাতার হাসপাতালে। বিষাক্ত চন্দ্রবোড়ার ছোবলে প্রাণ সংশয় হয়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উস্তি থানা এলাকার 11 বছরের আজহার উল শেখের। এই প্রথম ওই সাপে কামড়ানো বালকের ডায়ালিসিস করা হল ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে। নবজীবন ফিরে পেল ওই বালক।

ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে বড়দের ডায়ালিসিস চালু থাকলেও, শিশুদের ডায়ালিসিস আগে হত না। কারণ শিশুদের ডায়ালিসিস ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কম বয়সিদের ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হলে তাদের স্থানান্তরিত করা হত কলকাতার কোনও বড় হাসপাতালে। এবারই প্রথম ওই বালকের পরিবারের পূর্ণ সহযোগিতায় এবং শিশু বিভাগের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, ডায়ালিসিস বিভাগের কর্মী এবং শিশু বিভাগের কর্মীদের প্রায় 15-20 জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ ঝুঁকি নিয়েই বালকের ডায়ালিসিস করা হয় (Dialysis of Boy)। এরপর তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথম প্রচেষ্টাতেই এল বড় সাফল্য ৷

সম্প্রতি সাপে কামড়ানো ওই বালকের সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে দু'টি ডায়ালিসিস হয়। প্রায় দু'সপ্তাহ পর আজহার উল সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে। এপ্রসঙ্গে ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের ভূমিকারও প্রশংসা করে সে। মৃতপ্রায় বালক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় খুশি পরিবার। আজহর উলের বাবা আবদুল্লা শেখ বলেন, "ডাক্তারবাবু, নার্সদিদি এবং শিশুবিভাগ ও ডায়ালিসিস বিভাগের অক্লান্ত চেষ্টায় ছেলেকে ফিরে পেয়েছি।" সকলকে ধন্যবাদও জানান তিনি। এমন সাফল্যে খুশি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা: উৎপল দাঁ।

আরও পড়ুন: হাওড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে প্রহৃত আইনজীবী

তিনি বলেন, "সাপে কামড়ানো মৃতপ্রায় আজহার উলকে ডায়ালিসিসের জন্য কলকাতায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন হয়নি। ডায়ালিসিস ইউনিট, সিসিইউ টিম, সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি টিম, সমস্ত নার্স, কর্মী এবং শিশুবিভাগের জুনিয়র চিকিৎসকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আজহারকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ডায়ালিসিসের মাধ্যমে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এমন সাফল্যে সকলকেই ধন্যবাদ।" হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দারুণভাবে সহযোগিতা করার জন্য বালকের বাবা-মাকেও ধন্যবাদ জানান অধ্যক্ষ।

ডায়মন্ড হারবার, 8 ডিসেম্বর: ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Diamond Harbour Medical College) বড়সড় সাফল্য। এতদিন হাসপাতালে শিশুদের ডায়ালিসিস (Pediatric Dialysis) বিভাগ ছিল না। প্রয়োজনে শিশু রোগীদের পাঠানো হত কলকাতার হাসপাতালে। বিষাক্ত চন্দ্রবোড়ার ছোবলে প্রাণ সংশয় হয়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উস্তি থানা এলাকার 11 বছরের আজহার উল শেখের। এই প্রথম ওই সাপে কামড়ানো বালকের ডায়ালিসিস করা হল ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে। নবজীবন ফিরে পেল ওই বালক।

ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে বড়দের ডায়ালিসিস চালু থাকলেও, শিশুদের ডায়ালিসিস আগে হত না। কারণ শিশুদের ডায়ালিসিস ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কম বয়সিদের ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হলে তাদের স্থানান্তরিত করা হত কলকাতার কোনও বড় হাসপাতালে। এবারই প্রথম ওই বালকের পরিবারের পূর্ণ সহযোগিতায় এবং শিশু বিভাগের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, ডায়ালিসিস বিভাগের কর্মী এবং শিশু বিভাগের কর্মীদের প্রায় 15-20 জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ ঝুঁকি নিয়েই বালকের ডায়ালিসিস করা হয় (Dialysis of Boy)। এরপর তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথম প্রচেষ্টাতেই এল বড় সাফল্য ৷

সম্প্রতি সাপে কামড়ানো ওই বালকের সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে দু'টি ডায়ালিসিস হয়। প্রায় দু'সপ্তাহ পর আজহার উল সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে। এপ্রসঙ্গে ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ানের ভূমিকারও প্রশংসা করে সে। মৃতপ্রায় বালক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় খুশি পরিবার। আজহর উলের বাবা আবদুল্লা শেখ বলেন, "ডাক্তারবাবু, নার্সদিদি এবং শিশুবিভাগ ও ডায়ালিসিস বিভাগের অক্লান্ত চেষ্টায় ছেলেকে ফিরে পেয়েছি।" সকলকে ধন্যবাদও জানান তিনি। এমন সাফল্যে খুশি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা: উৎপল দাঁ।

আরও পড়ুন: হাওড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে প্রহৃত আইনজীবী

তিনি বলেন, "সাপে কামড়ানো মৃতপ্রায় আজহার উলকে ডায়ালিসিসের জন্য কলকাতায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন হয়নি। ডায়ালিসিস ইউনিট, সিসিইউ টিম, সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি টিম, সমস্ত নার্স, কর্মী এবং শিশুবিভাগের জুনিয়র চিকিৎসকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আজহারকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ডায়ালিসিসের মাধ্যমে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এমন সাফল্যে সকলকেই ধন্যবাদ।" হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দারুণভাবে সহযোগিতা করার জন্য বালকের বাবা-মাকেও ধন্যবাদ জানান অধ্যক্ষ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.