সোনারপুর, 7 জুলাই : স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও এক রোগীর দেহ আটকে পরিবারের থেকে 42 হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ সোনারপুরের এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ৷ জানা গিয়েছে, সোনারপুর জগদীশপুরের বাসিন্দা 76 বছরের বৃদ্ধ জন্মেজয় মণ্ডল স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন ওই নার্সিংহোম ৷ কিন্তু, তিনি গতকাল রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ জন্মেজয়বাবুর মৃত্যু হয় ৷ পরিবারের অভিযোগ আজ সকালে দেহ আনতে গেলে পরিবারের কাছে 42 হাজার টাকা চাওয়া হয় নার্সিংহোমের তরফে ৷ সেই টাকা দিতে না পারায় দেহ আটকে রাখে ওই নার্সিংহোম ৷
জানা গিয়েছে, 76 বছরের জন্মেজয় মণ্ডল মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে প্রথমে যাদবপুরে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, সেখানে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের সুবিধা না থাকায় জন্মেজয়বাবুকে সোনারপুরের কালিকাপুর এলাকার এক নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করায় পরিবারের সদস্যরা ৷ সেখানে তাঁকে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে ভর্তি নেয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ৷ তবে, বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষার জন্য আলাদা সাড়ে সাত হাজার টাকা দিতে হয় পরিবারকে ৷ সেই টাকা নগদেই মিটিয়ে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্য দফতরের হস্তক্ষেপে চিকিৎসার খরচ ফেরত পেল রোগীর পরিবার
গতকাল রাতে জন্মেজয় মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ৷ শেষে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর ৷ অভিযোগ পরিবারের সদস্যরা আজ সকালে নার্সিংহোমে তাঁর দেহ আনতে গেলে 42 হাজার টাকা চাওয়া হয় তাঁদের কাছে ৷ কিন্তু, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি নেওয়া রোগীর পরিবারের থেকে কেন টাকা চাওয়া হচ্ছে? সেই প্রশ্ন করা হলে, নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয়, রোগী 24 ঘণ্টার মধ্যে মারা গেলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসার খরচ মেটানো যাবে না ৷ আর তাই 42 হাজার টাকা জমা দেওয়ার পরেই দেহ ছাড়া হবে বলে জানিয়ে দেয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ৷ যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এমন কোনও নিয়মের কথা বলা হয়নি ৷ অসহায় ওই পরিবার দেহ ছাড়াতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে ৷