নরেন্দ্রপুর, 22 এপ্রিল: পুলিশি হেফাজতে বন্দি মৃত্যু ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য নরেন্দ্রপুর থানায় ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশ সুপারের কাছে নরেন্দ্রপুর থানা ও তদন্তকারী অফিসার অর্ণব চক্রবর্তীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বন্দির পরিবারের পক্ষ থেকে ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মিস পুষ্পা ৷
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, গড়িয়ার বাসিন্দা সুরজিৎ ওরফে সাহেব সর্দারকে চলতি মাসের 13 তারিখ দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ ৷ যদিও পুলিশের নখিতে 14 তারিখ গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ৷ চুরির মামলা দায়ের হয় অভিযুক্তের নামে ৷ এর আগেও নরেন্দ্রপুর থানায় ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৷ অভিযোগ রয়েছে সোনারপুর থানাতেও ৷ একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছিল অভিযুক্ত ৷ ধৃতকে দু‘বার নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তিও করা হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, 20 তারিখ থানার লক-আপেই অসুস্থ বোধ করে সুরজিৎ ওরফে সাহেব ৷ প্রথমে তাকে সোনারপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে এমআরবাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানেই 21 তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে ৷ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ৷
আরও পড়ুন: হাসপাতালের পুলিশ সেলের শৌচালয়ের সিলিং ভেঙে পলাতক বন্দি
মৃতের দাদা সুব্রত সর্দারের অভিযোগ, নরেন্দ্রপুর থানার পক্ষ থেকে তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল । দু‘দফায় মোট 20 হাজার টাকা দিয়েছেন তারা । আরও টাকা দাবি করলে তা দিতে পারেননি মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ৷ এরপরেই অভিযুক্তকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় । ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা । পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব । প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন," নরেন্দ্রপুর থানা অন্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ ধারণ করেছে । এই ঘটনার ন্যায্য বিচার পেতে প্রয়োজনে তারা উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন । এমনকী সিবিআই তদন্তও চাইবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।" এসপি অফিসের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতারা নরেন্দ্রপুর থানায় যান । মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।