বারুইপুর, 27 মে : বারুইপুর মহকুমার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কুলতলি ব্লক । এখানে প্রায় 30টি জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে ৷ আপাতত বানভাসি এলাকার বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে ৷ তবে ত্রাণ শিবিরে যেতে পারেননি অনেকেই ৷ ত্রাণ শিবিরে ভিড় বেড়ে যাওয়ায় করোনার মধ্যে সেখানে আশ্রয় নিতে ভরসা পাচ্ছেন না অনেকেই ৷ তাই নিজেরাই ব্যবস্থা করেছেন ৷ সেখানেই বন্যার্তদের সরকারের তরফে খাবার-দাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ বারুইপুরের মহকুমাশাসক জানান, যশের প্রভাবে ব্লকে ক্ষতি হলেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি ৷
কুলতলির প্লাবিত এলাকায় আটকে রয়েছেন অনেকেই ৷ তাঁরা সরকারি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে পারেননি ৷ স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত জানা জানিয়েছেন, সরকারি ত্রাণ শিবিরগুলিতে জায়গা অকুলান ৷ করোনার মধ্যে এত লোক একসঙ্গে থাকাটাও বাঞ্ছনীয় নয় ৷ তাই তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে ত্রাণ শিবির খুলেছেন ৷ সেখানে প্রায় 300 জন মানুষ আছেনও ৷ সরকারের তরফে সাহায্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷
মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার জানান, বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম । কোটালের জল নামার পরই বাঁধ মেরামতির কাজ হবে ৷ মোট 57টি ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে রাখা হয়েছে তাঁদের । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিচার করে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি । বানভাসি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরা চরম দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। সরকার যেন তাঁদের উপর নজর দেয়। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেননি।
আরও পড়ুন : যশ বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে কাল রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী