ক্যানিং, 4 অগস্ট: কালাচ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন দম্পতি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। হাসপাতালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গণেশ মণ্ডল (50) ও বিজলি মণ্ডল (45)। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড় থানার অন্তর্গত তাড়দহ গ্রামের বাসিন্দা গণেশ মণ্ডল। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়েছিলেন গণেশ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী বিজলি। শুক্রবার সকালে দম্পতি ঘুম থেকে না ওঠায়, পরিবারের লোকজন বাইরে থেকে ডাকাডাকি শুরু করেন ৷ বেশ খানিকক্ষণ ডাকাডাকির পর অবশেষে গণেশ অচৈতন্য অবস্থায় জানান, বিছানায় কিছু একটা কামড়ে দিয়েছে। যার জন্য উঠতে পারছেন না ৷
আরও পড়ুন: বহরমপুরে প্রকাশ্যে খুন যুবক, নেপথ্যে ত্রিকোণ প্রেম !
পরিবারের লোকজন এমন কথা শোনা মাত্রই দম্পতিকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করেন ৷ তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় কালিকাপুর হাসপাতালে ৷ সেখানে দম্পতির অবস্থা সঙ্কটজনক হলে 10টি করে এভিএস দিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। দম্পতিকেকে পৌনে দশটা নাগাদ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃন্ময় বিশ্বাস দম্পতির পরিস্থিতি দেখেই বুঝতে পারেন, কালাচ সাপে কামড় দিয়েছে।এক মুহূর্ত দেরী না করেই চিকিৎসা শুরু হয় দম্পতির। নার্সদের তৎপরতায় দম্পতিকে তড়িঘড়ি ৩০টি করে এভিএস দেওয়া হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন দম্পতি ।
আরও পড়ুন: বেহালায় কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ বেশকিছু পড়ুয়া, 2 ঘণ্টা পর স্কুল থেকে বেরল বাচ্চারা
ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, "কালাচ-এর কামড়ে দম্পতির মৃত্যু হয়েছে ৷ ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। চেষ্টা করেও দম্পতিকে বাঁচানো গেলো না। সময় থাকতে হাসপাতালে আনলে হয়তো বাঁচানো যেতে পারতো। ক্যানিং হাসপাতালের চিকিৎসকরা মাত্র 20 মিনিট চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছিলেন।যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চেষ্টাও চালানো হয়েছিল। কিন্তু কালাচ-এর তীক্ষ্ণ বিষের কাছে হেরে গেলেন ওই দম্পতি।"