দক্ষিণ 24 পরগনা, 3 ডিসেম্বর : অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ৷ আর তার প্রভাবে অতিভারী থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ আর তার জেরে আতঙ্কে কপালে চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের (Farmers Afraid for Cyclone Jawad) ৷ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে 40-50 কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া (Cyclone Jawad) ৷
উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷ ইতিমধ্যে, আবহাওয়া দফতরের তরফে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ তবে, ঝড়-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ধান ও শীতকালীন সবজি ৷ আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন দক্ষিণ 24 পরগনার কৃষকরা ৷ শীতের সময় বিভিন্ন সবজি চাষ করেন সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার মানুষজন ৷ কিন্তু, বৃষ্টির জেরে তা ক্ষতি হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তাই বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে তড়িঘড়ি মাঠ থেকে ফসল তুলে নিচ্ছেন কৃষকরা ৷
শীতের সময় আমন ধানের চাষ করা হয় ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ডহারবার, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, রায়দিঘি, কুলপি, ক্যানিং, সাগর-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই চাষ হয় ৷ আর শীতের শুরুতে মাঠেই পড়ে রয়েছে বিঘের পর বিঘে ধান ৷ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উপকূল তীরবর্তী এলাকার কৃষকদের ৷ সেই ক্ষত এখনও রয়েছে ৷ একটু একটু করে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলেন কৃষকরা ৷ কিন্তু, আবারও ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : Cyclone Jawad Updates: শনিবারই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ, প্রভাব বাংলাতেও
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ 24 পরগনায় প্রায় 1 লক্ষ 43 হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে ৷ তাছাড়া 50 হাজার হেক্টর জমিতে অন্য ধরনের মৌসুমী ফসল চাষ করা হয়েছে ৷ 20 হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রকমের ফুল চাষ করা হয়েছে ৷ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে ধান, ফসল ও ফুলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষি দফতরের আধিকারিকরাও ৷