মথুরাপুর, 3 ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার রাতে রঙিন আলোয় সেজে উঠেছিল মথুরাপুর থানা ৷ সন্ধ্যা থেকেই মথুরাপুর থানায় এলাকাবাসী এবং পুলিশ কর্মীদের পরিবারের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ সেই সঙ্গে মৃদু সুরে বাজছিল গান ৷ একটা বিয়ে বাড়ির যা আমেজ হয় ৷ তাই ছিল দক্ষিণ 24 পরগনার মথুরাপুর থানার দৃশ্য ৷ কারণ, ওই থানায় কর্মরত সিভিক ভল্যান্টিয়ার রাণু হালদার এবং স্বরূপ প্রামাণিকের বিয়ে ছিল বৃহস্পতিবার রাতে (Civic Volunteer Ranu Halder and Swarup Paramanik Get Married in Mathurapur Police Station) ৷ পুলিশ আধিকারিকদের পক্ষ থেকে তাঁদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয় মথুরাপুর থানার পাশে কালীমন্দিরে ৷
কর্মসূত্রে এই মথুরাপুর থানাতে পরিচয় রাণু এবং স্বরূপের ৷ সহকর্মী থেকে প্রেম এবং আজ তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ৷ থানাতে পরিচয়ের পর বেশ কয়েকবছর প্রেম তাঁদের ৷ দু’জনে একসঙ্গে জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন ৷ তাই থানার পুলিশ আধিকারিকরা থানা থেকেই দু’জনের একসঙ্গে নতুন জীবনের পথচলার ব্য়বস্থা করেন ৷ মথুরাপুর থানা সংলগ্ন কালীমন্দিরে রাণু এবং স্বরূপের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয় ৷ মথুরাপুর থানার এসআই অনুপ মজুমদার বর-কনের চারহাত এক করে দেন ৷
তবে, শুধু বিয়ের ব্যবস্থা নয় ৷ বিয়ে উপলক্ষ্যে ছিল এলাহি ভোজের ব্যবস্থাও ৷ কনে রাণু হালদার বলেন, ‘‘আমি খুব খুশি, নতুন জীবনে পথচলার ক্ষেত্রে মথুরাপুর থানার সকল পুলিশ কর্মীরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন ৷ এটাই ভেবেই আমি খুব আনন্দিত ৷ আমাদের সকলে আশীর্বাদ করেছেন ৷ যাতে আমাদের নতুন জীবন ভালোভাবে কাটে ৷’’
আরও পড়ুন: 'প্রেমের টান' ! রাশিয়া থেকে নবাবের শহরে যুবতি, বাঙালি বেশে বাঁধা পড়লেন সাতপাকে
আর বর স্বরূপ প্রামাণিকের কথায়, ‘‘মথুরাপুর থানার প্রত্যেক পুলিশ কর্মীকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ আমি কোনদিন ভাবিনি যে এমন দিন আসবে ৷ কর্মসূত্রে আমার রাণুর সঙ্গে আলাপ ৷ আর সেই আলাপ থেকে শুরু হয় ভালোলাগা আর ভালোবাসা ৷ থানার সকল পুলিশ কর্মীদের সহযোগিতায় আমাদের ভালোবাসা বিয়ের পরিণতি পাবে, আমি কোনও দিন ভাবিনি ৷ আমি খুব খুশি ৷ থানার সকল পুলিশ কর্মীকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷’’