জয়নগর, 14 নভেম্বর: সোমবার ভোরে বাড়ি থেকে নামজ পড়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর । তারপরই খুন হন তৃণমূল নেতা ৷ খুনের ঠিক আগের মুহূর্তে এলাকার একটি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাঁর ছবি ৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, হেঁটে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন ওই তৃণমূল নেতা ৷ তাঁর পিছনেই রয়েছে দুটি বাইক ৷ একটি বাইকে দু'জন অন্য বাইকে তিনজন আরোহীর দেখাও মিলেছে ওই সিসিটিভি ফুটেজে । সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ । অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে গিয়ে এবং পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে তদন্তকারীরা এক প্রকার নিশ্চিত যে ঘটনার যে বর্ণনা উঠে আসছে তাতে এই খুনের ঘটনায় হাত থাকতে পারে ভিন রাজ্যের সুপারি কিলারের । দু'জনকে আটক করেও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা ৷
ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় ওই অভিযুক্ত এই খুনের ঘটনায় তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ৷ জয়নগরের এই তৃণমূল নেতা খুনের পিছনে মূল মাস্টারমাইন্ডের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ৷ জয়নগরের ওই তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় যুক্ত রয়েছে সুপারি কিলার। এমনটাই অনুমান সিআইডির।
ভিন রাজ্যের সুপারি কিলার যুক্ত থাকার বিষয়ে রাজ্য পুলিশের এডিজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক বলেন, "আমরা পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ ঘেঁটে এবং সিসিটিভি ফুটেজের বেশ কিছু অংশ ভালোভাবে দেখে প্রাথমিক অনুমান করছি এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে সুপারি কিলার যোগ আছে ।" একাধিক সূত্র ইতিমধ্যেই পেয়েছেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা । তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এক লক্ষ টাকা দিয়ে দু'জন সুপারি কিলারকে ভাড়া করা হয়েছিল । প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ওই এলাকাতেই সুপারি কিলাররা গা ঢাকা দিয়েছিল ।
ধৃতকে মঙ্গলবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় । এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় মোট তিনটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এর মধ্যে প্রথমটি হল তৃণমূল নেতার খুনের মামলা । দ্বিতীয়টি হল এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার মতো জঘন্য ঘটনা এবং তৃতীয়টি হল এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে অবাধে লুটপাট, অগ্নিংযোগ ও মহিলাদের শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ৷
আরও পড়ুন: