কলকাতা, 27 এপ্রিল : নরেন্দ্রপুরে পরিচারিকাকে অপহরণ সংক্রান্ত মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের । পাশাপাশি তদন্তে গাফিলতি ও আদালতকে সঠিক তথ্য না-দেওয়ায় তদন্তকারী অফিসারকে (আইসি) চূড়ান্ত ভৎর্সনা করল কলকাতা হাইকোর্ট । তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (CID probe on narendrapur attempted maid abduction case) । 7 জুনের মধ্যে সিআইডি-র ডিজিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত ।
আদালত সূত্রে খবর, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা মধুশ্রী সিং ওই এলাকাতেই গৃহপরিচারিকার কাজ করেন । গত 27 জানুয়ারির বিকেলে কাজ শেষ করে ফিরছিলেন তিনি ৷ সেই সময় তিন জন তাঁর পথ আটকায় ৷ যে বাড়িতে কাজ করেন সেই বাড়ির সম্পর্কে জানতে চায় আগন্তুকরা । ওই বাড়িতে কতজন সদস্য আছে, তাঁদের গতিবিধি, এমনকি ঘুষ দিয়ে পরিচারিকার কাছে ওই বাড়ির সম্পর্কে তথ্য জানতে চায় তারা ৷ এরপর 3 ফেব্রুয়ারি 5-6 জন লোক গাড়িতে চেপে ওই পরিচারিকাকে অপহরণের চেষ্টা করে ৷ যদিও তাতে সফল হয়নি অপহরণকারীরা ৷ স্থানীয় লোকজন বিনোদ যাদব নামে এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলে ।
পরিচারিকা মধু সিংয়ের অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরেই তাঁকে বিভিন্ন সময় ফলো করছিল এই লোকজন । তারপরই থানায় অভিযোগ জানানো হয় । শেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই পরিচারিকা । অভিযোগ, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু যে রিপোর্ট পেশ করেন তাতে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি । নথি দেখে আদালতের মনে হয়েছে, রিপোর্টে অনেক খামতি রয়েছে । সেই কারণে তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিলেন বিচারপতি ।
আরও পড়ুন : PIL on VC Appointment : উপাচার্য নিয়োগে মানা হয়নি ইউজিসি গাইডলাইন ! হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের
এই বিষয়ে মধু সিংয়ের আইনজীবী রবি কিষাণ দুবে বলেন, "বেশ কিছুদিন ধরে ওই মহিলাকে অপহরণের চেষ্টা চলছিল । পাশাপাশি তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল এবং পথেঘাটে অনুসরণ করা হচ্ছিল । পুলিশ এই মামলায় যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে অসন্তুষ্ট আদালত ৷ সেই কারণেই সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্বভার সঁপে দিয়েছেন বিচারপতি ।"
