গঙ্গাসাগর, 16 জুলাই: পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও ব্যালট পেপার উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগরে ৷ স্থানীয় চৌরঙ্গী জনকল্যাণ সংঘ বিদ্যানিকেতন হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে শনিবার উদ্ধার হয়েছে একগুচ্ছ ব্যালট পেপার ৷ যার বেশিরভাগটাতেই বিজেপি এবং সিপিআইএম-এর প্রতীকে ছাপ দেওয়া বলে জানা গিয়েছে । এই স্কুলেই হয়েছিল ভোট গণনার কাজ ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে গঙ্গাসাগরের চৌরঙ্গী জনকল্যাণ বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলের পিছনে একাধিক ব্যালট পেপার পরে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা । এরপর দেখা যায় ওই ব্যালট পেপারগুলিতে বিজেপি এবং সিপিএমের প্রতীকে ভোট পড়েছে । বেশ কিছু ব্যালট পেপার ছেঁড়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে । সাগর বিধানসভার 9টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও একাধিক পঞ্চায়েত সমিতির আসনের ভোট গণনা হয়েছিল এখানে । কে বা কারা ওই ব্যালট পেপারগুলি ওখানে ফেলল তা নিয়ে চলেছে জোর চর্চা। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূলের দিকে ৷
ব্যালট পেপার উদ্ধারের খবর পেয়েই এদিন ঘটনাস্থলে যায় সাগর থানার পুলিশ । যদিও উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারগুলি পুলিশের হাতে দিতে অস্বীকার করেন বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকরা । সাগর ব্লকের বিজেপির ইনচার্জ খগেন মণ্ডল বলেন, "সারা বাংলায় রাজ্যের শাসকদল ভোট গণনা কেন্দ্রে যে কারচুপি করেছে তার অন্যতম নিদর্শন পাওয়া গেল সাগরে । এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের যে ফলাফল তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং পুনরায় গোটা রাজ্যে নির্বাচন করতে হবে ।"
আরও পড়ুন: চলছে ইডির তদন্ত, ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন সায়নী
বিজেপি নেতার কথায় সুর শোনা গেল সিপিএম নেতা অশোক দাসের গলাতেও ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "নির্বাচনী কলঙ্ক থেকে রেহাই পেল না গঙ্গাসাগর ৷ শনিবার সকাল থেকেই মানুষের হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যালট পেপার । ঘটনার পর ব্যালট পেপার সংরক্ষণ করার কথা থাকলেও গণনা কেন্দ্রের পিছনে কীভাবে সংরক্ষণ হচ্ছিল । রাজ্যের শাসকদল নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে গণনা কেন্দ্রের মধ্যে কারচুপি করেছে তা প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে ।" যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ এই বিষয়ে তৃণমূলের নেতাদের কাছ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এখানে উল্লেখযোগ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট গণনার দিন রাজ্যের বিরোধী দলের এজেন্টদের গণনা কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় তাই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷