কলকাতা, 8 অগস্ট: ভাঙড়ে তৃণমূলের হেরে যাওয়া প্রার্থীকে বোর্ড গঠনের জন্য ডাকার ব্যাপারে আদালতে ভুল স্বীকার করল রাজ্য সরকার । দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়-2 ব্লকের ভোগালি-1 গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ কাঠগড়ায় ছিল পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসার বা বিডিও ৷ তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে গতকাল সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় ৷ সেই মামলা করেছিলেন আইএসএফের বিজয়ী প্রার্থী বসিরুদ্দিন সরদার । মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতেই ভুল স্বীকার করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে ৷
এই মামলায় আইএসএফের বিজয়ী প্রার্থী বসিরুদ্দিন সরদার আদালতে অভিযোগ করেছিলেন যে ভোগালি-1 গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচনের জন্য বোর্ড গঠনের প্রথম বৈঠকে বিজয়ী প্রার্থীকে না ডেকে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীকে ডাকেন বিডিও । তৃণমূলের ওই প্রার্থীর নাম আখে আলি মোল্লা ৷ তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট পেয়েছেন 387টি । অন্যদিকে আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন সরদার পেয়েছেন 595 । ফলে জিতেছেন বসিরুদ্দিনই ৷
তাঁর অভিযোগ, বোর্ড গঠনের বৈঠকে তাঁকে ডাকা উচিত ছিল বিডিও-র ৷ অথচ ওই বিডিও গত 27 জুলাই বোর্ড গঠনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ পাঠান তৃণমূল প্রার্থীকে ৷ এমনকি বিডিও গেজেট নোটফিকেশন প্রকাশ করেও তৃণমূলের হেরে যাওয়া প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন ।
এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয় ৷ সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয় মামলাকারী বসিরুদ্দিন সরদারের অভিযোগ সঠিক । নতুন করে নোটিফিকেশন জারি করে বিডিও নিজের ভুল শুধরে নিয়েছেন বলে আদালতে জানিয়েছে রাজ্য । ফলে মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়েছে হাইকোর্ট ।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে ফের জারি 144 ধারা, চম্পাহাটিতে পঞ্চায়েত-বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তেজনা