বারুইপুর, 6 জুন : দশটি পুরানো প্লাস্টিকের বোতল দিলেই মিলছে নতুন জলের বোতল ৷ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্লাস্টিক মুক্ত সুন্দরবনের লক্ষ্যে অভিনব উদ্যোগ নিল বারুইপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । ঘূর্ণিঝড় যশের ত্রাণ হিসেবে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর প্লাস্টিকের জলের বোতল দেওয়া হয়েছিল ৷ বিভিন্ন দ্বীপে গিয়ে সেগুলি সংগ্রহ করে নষ্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ৷
সুন্দরবনকে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য সরকারি তরফে একাধিক নির্দেশিকা ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু বাস্তবে তার রূপান্তর সেভাবে হয়নি । এখনও সুন্দরবনের বিভিন্ন টুরিস্ট লঞ্চগুলিতে প্লাস্টিকের ব্যবহার দেখা যায় ৷ নদীতে ভাসে প্লাস্টিক । যশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে পানীয় জলের বোতল দেওয়া হয়েছেে । সুন্দরবনের পরিবেশে এইসব প্লাস্টিকের মারাত্মক প্রভাব পড়বে ৷ এই আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ! প্রশাসনের তরফ থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি । বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বারুইপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চম্পাহাটি স্বাস্থ্যমেলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি প্লাস্টিক মুক্ত সুন্দরবন গড়ার কাজে নেমে পড়ল ৷ সংগঠনের সদস্যরা সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে ঘুরে ঘুরে পুরানো প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করছেন ৷ কেউ দশটি পুরানো প্লাস্টিকের বোতল জোগাড় করে দিলে তাকে নতুন জলের বোতল দেওয়া হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : World Environment Day: ম্যানগ্রোভ বাঁচিয়েছে সুন্দরবনকে, ক্যানিংয়ে ফের বৃক্ষরোপণ
এই বিষয়ে সংগঠনের কর্ণধার প্রসেনজিৎ মিস্ত্রি বলেন, "কয়েকদিনের মধ্যে লাখ লাখ পানীয় জলের বোতল সুন্দরবনে এসেছে । প্লাস্টিকের প্রভাব সুন্দরবনের পরিবেশের উপর পড়বে ৷ সুন্দরবনে এই মুহূর্তে আর পানীয় জলের অভাব নেই ৷ সুতরাং প্রশাসনের উচিত প্লাস্টিকের পানীয় জলের বোতল সুন্দরবনের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ৷ নইলে আগামী দিনে আমরা সুন্দরবনকে বাঁচাতে পারব না ।" এই কর্মসূচী আগামী দিনেও চলবে বলে জানিয়েছে ওই সংগঠনের সদস্যরা ৷