সাগর, 30 মার্চ : বাংলাদেশি জাহাজে ছিঁড়ল মাছ ধরার জাল (Bangladeshi Ship in Ghoramara Island)। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মাঝ নদীতে ছড়াল উত্তেজনা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাংলাদেশী জাহাজকে আটকে রাখলেন মত্স্যজীবীরা। ঘটনটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছে।
আজ দক্ষিণ 24 পরগনার সাগরের ঘোড়ামাড়া দ্বীপের পাশ দিয়ে একটি বাংলাদেশি জাহাজ হলদিয়া যাচ্ছিল । হুগলি নদীতে প্রতিদিনের মতো মাছ ধরার জন্য জাল পেতেছিলেন বেশ কয়েকজন মত্স্যজীবীরা। জাহাজের নাবিক জলের মধ্যে থাকা জাল বুঝতে পারেননি। জাহাজের পাখায় আটকে যায় মাছ ধরার জাল। ফালা ফালা হয়ে যায় জালটি। এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন মত্স্যজীবীরা। সেই সময় নদীতে থাকা অন্তত 5টি মাছ ধরার নৌকাকে ঘিরে ধরে বাংলাদেশী জাহাজ এমভি সি প্রাইডকে। জালের ক্ষতিপূরণের দাবিতে নদীতে নৌকা দিয়ে জাহাজকে ঘিরে চলে প্রতিবাদ। বিষয়টি কলকাতা পোর্টট্রাস্ট, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক, জেলা মত্স্য আধিকারিক (সামুদ্রিক) ও পুলিশের নজরে আনা হয়। মাঝ নদীতে আটকে থাকে জাহাজটি ।
আরও পড়ুন: বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণে মৃত 1
খবর পেয়ে সাগরের এসডিপিও দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন । জাহাজের নাবিক ও বিক্ষোভরত মত্স্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন । জাহাজ কর্তৃপক্ষ মত্স্যজীবীদের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হওয়ায় বিক্ষোভ ওঠে। ক্ষতিগ্রস্ত মত্স্যজীবী পুলক দাস বলেন, "আমার নৌকার নাম এফবি মা মালতী। আমার একটি বিন্দি জাল পুরোপুরি নষ্ট করে দেয় বাংলাদেশি জাহাজটি। যার বাজারমূল্য 65 হাজার টাকা। বিক্ষোভ দেখানো ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।" শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এদিন সন্ধে পর্যন্ত ওই জায়গাতেই আটকে রয়েছে জাহাজটি। কারণ, জাহাজের নীচের পাখায় জাল এমনভাবে জড়িয়ে গিয়েছে যে তা না ছাড়ালে জাহাজ এগোতে পারবে না। ডুবুরিরা এসে জাহাজের নীচ থেকে জাল ছাড়ানোর পরই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবে এমভি সি প্রাইড জাহাজটি।