ডায়মন্ডহারবার, 27 এপ্রিল : ডায়মন্ডহারবারের গুরুদাসনগরে ভোট প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ফুয়াদ হালিমসহ একাধিক কর্মী, সমর্থক । একটি বাড়িতে তাঁরা আশ্রয় নেন । সেই বাড়িটি ঘিরে ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ।
খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ । কিন্তু, তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি । এবিষয়ে ফুয়াদ হালিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমাদের সুবিধা অ্যাপে অনুমতি নেওয়াই ছিল । গুরুদাসনগরে মিছিল আসছিল । পুলিশ বলল আমাদের সাইড হয়ে যেতে । অন্য একটি দল । তৃণমূলের মিছিল ক্রস করবে । আমরা সাইড হয়ে গেলাম । তৃণমূলের ওই মিছিলটি এসে আমাদের উপর হামলা চালায় । আমাদের যে কর্মীরা সাইডে দাঁড়িয়েছিল তাদের উপর আক্রমণ করল । গাড়ি ভাঙচুর করেছে, ফ্ল্যাগ ছিঁড়ে দিয়েছে । আমার উপর দু'দফায় আক্রমণ করেছে । আমাদের দু'জন কর্মী গুরুতর আহত । এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি । পুলিশ এসেছে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে । আছেন SDPO, IC । কিন্তু বাকি কর্মীরাও আছেন । তারা কীভাবে যাবে এখন বুঝে উঠতে পারছি না ।"
তিনি আরও বলেন, "আমাকে মাথায় বাঁশ দিয়ে মেরেছে । পায়ে মেরেছে । কিল, চর, ঘুষি মেরেছে পিঠে । আমি আপাতত কথা বলার পরিস্থিতিতে আছি । যেখানে আছি তার বাইরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বহাল তবিয়তে দাঁড়িয়ে আছে । ওপারেও আমাদের কর্মীরা আছেন । এখন এই দুষ্কৃতীদের না সরালে ওদিকে কী খবর জানতে পারছি না । পুলিশ ওদের প্রোটেকশন দিচ্ছে ।"
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল । তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা বলেন, "পুরো বিষয়টি ফুয়াদ হালিমের তৈরি করা । আমাদের অনুমতি নেওয়া ছিল । ফুয়াদ হালিমের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে আমাদের উপর হামলা করে । প্রায় 15 জন যুব নেতা জখম হয়েছেন । একজনকে হাসপাতালেও ভরতি করা হয়েছে ।"