ভাঙড়, 29 জুন: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড় । কার্যত বোমা-বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছিল দক্ষিণ 24 পরগনার এই এলাকা। গুলি বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের ৷ আর তা নিয়েই একে অপরকে দুষেছিল আইএসএফ-তৃণমূল। এবার প্রকাশ্যে ভাঙড়ের অশান্তির জন্য ক্ষমা চাইলেন আরাবুল পুত্র হাকিমুল। তাঁর দাবি, কর্মীরা ভুল করলেও, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কোনওভাবেই দায়ী করা যায় না ৷ একই সঙ্গে, প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নেন আরাবুলের পুত্র ৷
মনোনয়ন পর্বেই আশান্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়, ক্যানিং-সহ একাধিক এলাকা ৷ আর সেই সংঘর্ষেই মৃত্যু হয়েছিল রাজনৈতিক দলের তিন কর্মীর ৷ তৃণমূলের দাবি, তাদের দুই কর্মী এবং অন্যদিকে আইএসএফের দাবি ছিল তাদেরও এক কর্মীরও গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৷ খোদ মনোনয়ন পর্বেই যেভাবে গুলি-বারুদের ধোঁয়ায় ভরে উঠেছিল, তাতে ভোটে হিংসার আশঙ্কা আরও বাড়ছিব রাজনৈতিক মহলে ৷ ভাঙড়, ক্যানিংয়ে ছুঁটে গিয়েছিলেন খোদ রাজ্যপাল ৷ খুনের মামলা রুজু হয়েছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে ৷ এবার সেই ভাঙড় নিয়েই উলটো সুর শোনা গেল আরাবুলের ছেলের গলায় ৷ এদিন তিনি বললেন, "কর্মীরা ভুল করতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ভুল নেই। ক্ষমা করে দিন।"
এর অবশ্য পালটা দিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকীও। মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই ভাঙড় অশান্ত। বারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল ও আইএসএফ। বোমা পড়েছে মুড়িমুড়কির মতো। চলেছে গুলি। ঝড়েছে রক্ত। প্রাণহানিও হয়েছে। গোটা ঘটনার জন্য একে অপরকে দুষেছিল আইএসএফ-তৃণমূল। ভাঙড় কাণ্ডের জেরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবি করেছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তারপর বেশ কয়েকদিন পেরিয়েছে। শান্ত হয়েছে ভাঙড়। এই পরিস্থিতিতে ভরা সভায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল। কী বলেছেন হাকিমুল?
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়াতে এবার আদালতের দ্বারস্থ কংগ্রেস
তিনি বলেন, "অন্যায় অশান্তি যদি কেউ করে থাকেন, দলের কর্মীরা করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অশান্তি করেননি। ওদের কোনও ভুল নেই। দলের কর্মীদের ভুলের জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দিন। ঋণ হিসেবে ভোট দিয়ে পরের পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করুন। আমরা যদি নিজেদের প্রমাণ করতে না পারি তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।" এ প্রসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, "ওরা বুঝে গিয়েছেন, পায়ের নীচের মাটি সরে যাচ্ছে। তাই এসব বলছে।" প্রসঙ্গত, ভাঙড়ে অশান্তিতে আরাবুল ও হাকিমুল-সহ 20 জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল।