ETV Bharat / state

সংগ্রামপুরে নাকাল যাত্রীরা : 'অকারণে' 7 ঘণ্টা রেল অবরোধ AIMIM-এর - AIMIM block rail in Sangrampur

জয়শ্রীরাম না বলায় মারধর করা হচ্ছে । এই অভিযোগ তুলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সংগ্রামপুরে রেল অবরোধ করল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) কর্মীরা ।

রেল অবরোধ
author img

By

Published : Aug 14, 2019, 11:01 PM IST

সংগ্রামপুর (দক্ষিণ 24 পরগনা), 14 অগাস্ট : জয়শ্রীরাম না বলায় মারধর করা হচ্ছে । এই অভিযোগ তুলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সংগ্রামপুরে রেল অবরোধ করল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) কর্মীরা ।

আজ সকাল সাড়ে 9টা থেকে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সংগ্রামপুরে ট্রেন আটকে অবরোধ শুরু হয় । এরপর ডায়মন্ডহারবার GRP থেকে রেল পুলিশ এসে অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা বলে । দু'পক্ষের বচসা শুরু হয় । পরে রেল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় উসতি থানার পুলিশ । অবরোধ তুলতে গিয়ে তারা ব্যর্থ হয় । ফের শুরু হয় পাথরবৃষ্টি । জখম হন কয়েকজন পুলিশকর্মী । তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরে অবরোধকারীরা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় । খবর পেয়ে ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থানে পৌঁছায় । প্রায় সাত ঘণ্টা পর অবরোধ উঠে যায় ।

সংগ্রামপুরে অবরোধ চলায় ট্রেন পরিষেবা বিপর্যস্ত ছিল । বাধ্য হয়ে শিয়ালদা থেকে মগরাহাট পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, "কোনও কারণ ছাড়াই অবরোধ হল । মানুষের হয়রানি করার চেষ্টা ।"

অবরোধের প্রকৃত কারণ বলতে পারেনি অবরোধকারীরাও । কেউ কেউ বলে, "দেশজুড়ে জয়শ্রীরাম না বলায় একাধিক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে । তাই অবরোধ ।" আবার কেউ কেউ বলে, কিছুদিন আগে ট্রেনে করে আমাদের এক বন্ধু আসছিল । তাকে জয়শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হয়েছে । তারপরও চলে মারধর । তাই, এই অবরোধ ।"

সংগ্রামপুর (দক্ষিণ 24 পরগনা), 14 অগাস্ট : জয়শ্রীরাম না বলায় মারধর করা হচ্ছে । এই অভিযোগ তুলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সংগ্রামপুরে রেল অবরোধ করল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) কর্মীরা ।

আজ সকাল সাড়ে 9টা থেকে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সংগ্রামপুরে ট্রেন আটকে অবরোধ শুরু হয় । এরপর ডায়মন্ডহারবার GRP থেকে রেল পুলিশ এসে অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা বলে । দু'পক্ষের বচসা শুরু হয় । পরে রেল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় উসতি থানার পুলিশ । অবরোধ তুলতে গিয়ে তারা ব্যর্থ হয় । ফের শুরু হয় পাথরবৃষ্টি । জখম হন কয়েকজন পুলিশকর্মী । তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরে অবরোধকারীরা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় । খবর পেয়ে ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থানে পৌঁছায় । প্রায় সাত ঘণ্টা পর অবরোধ উঠে যায় ।

সংগ্রামপুরে অবরোধ চলায় ট্রেন পরিষেবা বিপর্যস্ত ছিল । বাধ্য হয়ে শিয়ালদা থেকে মগরাহাট পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, "কোনও কারণ ছাড়াই অবরোধ হল । মানুষের হয়রানি করার চেষ্টা ।"

অবরোধের প্রকৃত কারণ বলতে পারেনি অবরোধকারীরাও । কেউ কেউ বলে, "দেশজুড়ে জয়শ্রীরাম না বলায় একাধিক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে । তাই অবরোধ ।" আবার কেউ কেউ বলে, কিছুদিন আগে ট্রেনে করে আমাদের এক বন্ধু আসছিল । তাকে জয়শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হয়েছে । তারপরও চলে মারধর । তাই, এই অবরোধ ।"

Intro:জয় শ্রী রাম না বলায় এক যুবককে মারধরের অভিযোগ তুলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সংগ্রামপুর এ অবরোধ করল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। আসাউদ্দিন ওয়াইসির সংগঠন মিম এর নেতৃত্বে এই অবরোধ চলে। সকাল সাড়ে নটা থেকে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সংগ্রামপুরে ট্রেন আটকে অবরোধ শুরু করে। অবরোধ শুরুর পর ডায়মন্ড হারবার জিআরপি থেকে রেল পুলিশ এসে অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা বললে। প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। পরে কার্যত পাথর বৃষ্টি শুরু হয়। খবর পেয়ে উস্তি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রেল পুলিশ এবং উস্তি থানার পুলিশ যৌথ উদ্যোগে অবরোধ তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে অবরোধকারীরা। পাথরের গায়ে কয়েক জন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। আহত পুলিশ কর্মীদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবরোধকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের কয়েকটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাশাপাশি বারুইপুর জিআরপি থেকেও বিশাল রেল পুলিশ এলাকায় পৌঁছায়। যৌথভাবে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলতে সক্ষম হয় পুলিশ।Body:প্রায় সাত ঘণ্টা পর অবরোধ উঠলেও এখনো পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। সংগ্রামপুর স্টেশন এর পাশাপাশি ও হোটোর স্টেশনে বিদ্যুতের তারে কলা পাতা ফেলে দেওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে টাওয়ার ভ্যান এসে কলাপাতা সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে রেল কর্তৃপক্ষ। অবরোধকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর অবরোধকারীরা যে অভিযোগ করছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। Conclusion:শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার লাইনের সংগ্রামপুর স্টেশনে অবরোধ শুরু হওয়ায় পুরো পুরি ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষন অবরোধ চলায় রেল কর্তৃপক্ষ শিয়ালদা থেকে মগরাহাট পর্যন্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতন অবরোধ চলাকালীন ডায়মন্ডহারবার লাইনের শিয়ালদা থেকে মগরাহাট পর্যন্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। নিত্যদিন সকালে কাজে বেরিয়ে ফেরার সময় অনেকেই ফিরতে পারেনি। ফলে বিভিন্ন স্টেশনে ডায়মন্ড হারবার ফেরার যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। অবরোধ উঠে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.