ETV Bharat / state

আয়লা-আমফানের পর যশের ধ্বংসলীলা, অন্ধকারে সুন্দরবনের ভবিষ্যত্ - যশ

আয়লা-আমফানের পর আরও একটা ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসলীলা চলল সুন্দরবনে ৷ যশের জেরে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে সেখানকার মানুষ ৷

After Amphan now cyclone yaas devastated Sundarban
আয়লা-আমফানের পর যশের ধ্বংসলীলা, অন্ধকারে সুন্দরবনের ভবিষ্যত্
author img

By

Published : May 26, 2021, 4:55 PM IST

Updated : May 26, 2021, 5:27 PM IST

সাগর, 26 মে : 2009 সালে ধূলিসাত্ করে দিয়ে গিয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আয়লা ৷ তার রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সুন্দরবন ৷ এরইমধ্যে গত বছর তাদের যুঝতে হয়েছে মারাত্মক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের সঙ্গে ৷ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে সুন্দরবনের মানুষের জনজীবন ৷ সবে পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছিল ৷ তবে প্রকৃতির রোষ আবারও অভিশাপের মতো নেমে এল সুন্দরবনের দিকে ৷ ঘূর্ণিঝড় যশ ওডিশায় আছড়ে পড়লেও তার ঝাপটায় বেসামাল রাজ্যের ব-দ্বীপ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চল ৷ সরকারি তত্পরতায় প্রাণহানি ঘটেনি ৷ তবে বাঁধ ভেঙে, কৃষিজমি প্লাবিত হওয়ায় প্রবল ক্ষয়ক্ষতি আটকানো যায়নি ৷ ফলে ভবিষ্যত্ জীবন ও জীবিকা নিয়ে ভয়ংকর অনিশ্চয়তার মুখে সুন্দরবনের মানুষ ৷

গত কয়েক বছরে সুন্দরবনের বিপদ ঘনিয়ে এসেছে মূলত তিনটি দিক থেকে ৷ প্রাকৃতিক, বাস্তুতান্ত্রিক ও মানুষের অর্থনীতি ৷ অবস্থানগত কারণেই প্রাকৃতিক বিপদের মুখে বসে রয়েছে সুন্দরবন ৷ সুন্দরবন মূলত বদ্বীপ অঞ্চল ৷ এর একটা অংশ সমুদ্রের একেবারে সামনে রয়েছে, যা মূলত সাগরের জলে প্রভাবিত ব-দ্বীপ ৷ আর ভেতরের দিকে যে জায়গাগুলি রয়েছে সেগুলি নদীর জোয়ারভাঁটা ও সমুদ্রের জলের যৌথ সমন্বয়ে তৈরি দ্বীপ ৷ সুন্দরবনের 102টি দ্বীপের মধ্যে জনবসতি রয়েছে 50 টির মতো দ্বীপে ৷ দ্বীপগুলিতে এখনও প্রাকৃতিক ভাঙা-গড়া চলছে ৷ ফলে দ্বীপের প্রান্তবাসী বিপদের ঝুঁকিও সবসময়েই বেশি ৷

গত বছর আমফানে ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের প্রায় 30 শতাংশ অর্থাত্ 1200 বর্গ কিমি এলাকার ম্যানগ্রোভ অরণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ কমবেশি 150টি স্থানে নদী বাঁধ ভেঙে পড়ে ৷ যার ফলে দুটো প্রভাব পড়ে ৷ 18000 একর জমি জলের তলায় চলে যায় ৷ নোনা জলে মাসের পর মাস ডুবে থাকে কৃষিজমি ৷ সুন্দরবনের 70 শতাংশ মানুষেরই জীবিকা অর্জনের মূল উত্স কৃষিকাজ ৷ ফলে বৃহত্তর একটি অংশের মানুষের জীবন জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ৷ নদীবাঁধ ভেঙে জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বাঘেদের বাসস্থান অনেক বেশি উন্মুক্ত হয়ে যায় ৷ এর ফলে বাঘের হানায় মৃত্যু বেড়ে যায় বহুগুণ ৷

আমফানের জন্য যে জায়গায় বাঁধ মেরামতের প্রয়োজন ছিল ও গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছিল, এত অল্প সময়ের মধ্যে তাও সম্পূর্ণ করতে দেয়নি ঘূর্ণিঝড় যশ ৷ ফলে প্রাকৃতিক বাঁধ অরক্ষিতই থেকে যায় ৷ স্বাভাবিকভাবে পাথরপ্রতিমা, নামখানা, সাগর, মথুরাপুর, হিঙ্গলগঞ্জ, কুলতলি, সন্দেশখালি-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও মাটির বাঁধ ভেঙেছে ৷ জল ঢুকছে প্লাবিত করেছে আশপাশের এলাকা ৷ প্রায় 8-10টি ব্লকের জীবন জীবিকা আক্রান্ত ৷ ঝড়ের আগেই 10 লক্ষ মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে এনেছে সরকার ৷ তাই প্রাণহানি রোধ করা গিয়েছে ৷ তবে রোখা যায়নি অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি ৷ কংক্রিটের বাঁধ দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এখানে সম্ভব নয় ৷ কারণ জলের স্রোত ও দ্বীপগলির 9 টি চরিত্র ৷ তাই প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই মানুষকে বসবাস করতে হবে ৷

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ম্য়ানগ্রোভ অরণ্য তৈরিতে জোর মুখ্যমন্ত্রীর

সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভূগোলবিদ শিশির চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "এই ঝড় শান্ত হওয়ার পর মূল্যায়ণ হবে ৷ বিপুল পরিমাণে মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে ৷ ম্যানগ্রোভের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ আগামী কয়েক বছর কৃষি ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করাটাই বিরাট চ্যালেঞ্জ ৷ নোনা জলে প্লাবিত হওয়া কৃষিজমি পুনরুদ্ধার করে মানুষ চাষ করতে পারবে কি না, সেটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ৷"

শুধু কৃষি নয়, সংকটে জীবিকার অন্য সংস্থানগুলিও ৷ শিশির বাবুর কথায়, "সুন্দরবনের একটা বড় অংশের মানুষ জঙ্গলে গিয়ে মধু সংগ্রহ করেন, কাঠ সংগ্রহ করেন, পাতা সংগ্রহ করেন ৷ একে লকডাউন, তার উপর বেড়েছে বাঘের আক্রমণ , পশুদের মধ্যে মানুষের থেকে কোভিড সংক্রমিত হওয়া রুখতে জঙ্গলে নেট দেওয়া রয়েছে, ফলে মানুষের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া বারণ ৷ কাঁকড়ার ব্যবসা, মধু সংগ্রহ সব অন্ধকারে ৷ এ দিকে, লক্ষাধিক মানুষ বাইরে থেকে ফিরে এসেছেন ৷ ফলে যশের পর জীবিকা নির্বাহ নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন সুন্দরবনের মানুষ ৷ তাই লকডাউন খুললে মানুষকে ফের ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে বেরোতে হবে, নয়তো সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ৷" আরও একটা ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সুন্দরবনে প্রবল আকারে পানীয় জলের সংকটও দেখা দিতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

শুধু সুন্দরবনই নয়, তার পার্শ্ববর্তী দুই 24 পরগনা শহরাঞ্চল, কলকাতা, নদিয়াও বৃহত্তর গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের অংশ ৷ তবে এই অঞ্চলগুলিতে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক ভাঙা গড়ার কাজ হয় না ৷ বাংলার সবথেকে উর্বরতম জমি এই এলাকাগুলিতেই ৷ আমফান যেহেতু কলকাতা ছুঁয়ে বৃহত্তর গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের উপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে গিয়েছিল, তাই ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল ব্যাপক ৷ কিন্তু যশের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি ৷ এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক না নিয়ে ওডিশা হয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে গিয়েছে ৷ তাই ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, বর্ধমান, দুই 24 পরগনার মতো জেলাগুলি ৷ কিছুটা জল জমার সমস্যা, কৃষিজমির ক্ষয়ক্ষতি ও পানীয় জলের সংকট ছাড়া যশের কারণে দীর্ঘমেয়াদি কোনও সমস্যা হবে না এই জেলাগুলিতে ৷

সাগর, 26 মে : 2009 সালে ধূলিসাত্ করে দিয়ে গিয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আয়লা ৷ তার রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সুন্দরবন ৷ এরইমধ্যে গত বছর তাদের যুঝতে হয়েছে মারাত্মক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের সঙ্গে ৷ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে সুন্দরবনের মানুষের জনজীবন ৷ সবে পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছিল ৷ তবে প্রকৃতির রোষ আবারও অভিশাপের মতো নেমে এল সুন্দরবনের দিকে ৷ ঘূর্ণিঝড় যশ ওডিশায় আছড়ে পড়লেও তার ঝাপটায় বেসামাল রাজ্যের ব-দ্বীপ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চল ৷ সরকারি তত্পরতায় প্রাণহানি ঘটেনি ৷ তবে বাঁধ ভেঙে, কৃষিজমি প্লাবিত হওয়ায় প্রবল ক্ষয়ক্ষতি আটকানো যায়নি ৷ ফলে ভবিষ্যত্ জীবন ও জীবিকা নিয়ে ভয়ংকর অনিশ্চয়তার মুখে সুন্দরবনের মানুষ ৷

গত কয়েক বছরে সুন্দরবনের বিপদ ঘনিয়ে এসেছে মূলত তিনটি দিক থেকে ৷ প্রাকৃতিক, বাস্তুতান্ত্রিক ও মানুষের অর্থনীতি ৷ অবস্থানগত কারণেই প্রাকৃতিক বিপদের মুখে বসে রয়েছে সুন্দরবন ৷ সুন্দরবন মূলত বদ্বীপ অঞ্চল ৷ এর একটা অংশ সমুদ্রের একেবারে সামনে রয়েছে, যা মূলত সাগরের জলে প্রভাবিত ব-দ্বীপ ৷ আর ভেতরের দিকে যে জায়গাগুলি রয়েছে সেগুলি নদীর জোয়ারভাঁটা ও সমুদ্রের জলের যৌথ সমন্বয়ে তৈরি দ্বীপ ৷ সুন্দরবনের 102টি দ্বীপের মধ্যে জনবসতি রয়েছে 50 টির মতো দ্বীপে ৷ দ্বীপগুলিতে এখনও প্রাকৃতিক ভাঙা-গড়া চলছে ৷ ফলে দ্বীপের প্রান্তবাসী বিপদের ঝুঁকিও সবসময়েই বেশি ৷

গত বছর আমফানে ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের প্রায় 30 শতাংশ অর্থাত্ 1200 বর্গ কিমি এলাকার ম্যানগ্রোভ অরণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ কমবেশি 150টি স্থানে নদী বাঁধ ভেঙে পড়ে ৷ যার ফলে দুটো প্রভাব পড়ে ৷ 18000 একর জমি জলের তলায় চলে যায় ৷ নোনা জলে মাসের পর মাস ডুবে থাকে কৃষিজমি ৷ সুন্দরবনের 70 শতাংশ মানুষেরই জীবিকা অর্জনের মূল উত্স কৃষিকাজ ৷ ফলে বৃহত্তর একটি অংশের মানুষের জীবন জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ৷ নদীবাঁধ ভেঙে জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বাঘেদের বাসস্থান অনেক বেশি উন্মুক্ত হয়ে যায় ৷ এর ফলে বাঘের হানায় মৃত্যু বেড়ে যায় বহুগুণ ৷

আমফানের জন্য যে জায়গায় বাঁধ মেরামতের প্রয়োজন ছিল ও গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছিল, এত অল্প সময়ের মধ্যে তাও সম্পূর্ণ করতে দেয়নি ঘূর্ণিঝড় যশ ৷ ফলে প্রাকৃতিক বাঁধ অরক্ষিতই থেকে যায় ৷ স্বাভাবিকভাবে পাথরপ্রতিমা, নামখানা, সাগর, মথুরাপুর, হিঙ্গলগঞ্জ, কুলতলি, সন্দেশখালি-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও মাটির বাঁধ ভেঙেছে ৷ জল ঢুকছে প্লাবিত করেছে আশপাশের এলাকা ৷ প্রায় 8-10টি ব্লকের জীবন জীবিকা আক্রান্ত ৷ ঝড়ের আগেই 10 লক্ষ মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে এনেছে সরকার ৷ তাই প্রাণহানি রোধ করা গিয়েছে ৷ তবে রোখা যায়নি অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি ৷ কংক্রিটের বাঁধ দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এখানে সম্ভব নয় ৷ কারণ জলের স্রোত ও দ্বীপগলির 9 টি চরিত্র ৷ তাই প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই মানুষকে বসবাস করতে হবে ৷

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ম্য়ানগ্রোভ অরণ্য তৈরিতে জোর মুখ্যমন্ত্রীর

সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভূগোলবিদ শিশির চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "এই ঝড় শান্ত হওয়ার পর মূল্যায়ণ হবে ৷ বিপুল পরিমাণে মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে ৷ ম্যানগ্রোভের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ আগামী কয়েক বছর কৃষি ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করাটাই বিরাট চ্যালেঞ্জ ৷ নোনা জলে প্লাবিত হওয়া কৃষিজমি পুনরুদ্ধার করে মানুষ চাষ করতে পারবে কি না, সেটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ৷"

শুধু কৃষি নয়, সংকটে জীবিকার অন্য সংস্থানগুলিও ৷ শিশির বাবুর কথায়, "সুন্দরবনের একটা বড় অংশের মানুষ জঙ্গলে গিয়ে মধু সংগ্রহ করেন, কাঠ সংগ্রহ করেন, পাতা সংগ্রহ করেন ৷ একে লকডাউন, তার উপর বেড়েছে বাঘের আক্রমণ , পশুদের মধ্যে মানুষের থেকে কোভিড সংক্রমিত হওয়া রুখতে জঙ্গলে নেট দেওয়া রয়েছে, ফলে মানুষের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া বারণ ৷ কাঁকড়ার ব্যবসা, মধু সংগ্রহ সব অন্ধকারে ৷ এ দিকে, লক্ষাধিক মানুষ বাইরে থেকে ফিরে এসেছেন ৷ ফলে যশের পর জীবিকা নির্বাহ নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন সুন্দরবনের মানুষ ৷ তাই লকডাউন খুললে মানুষকে ফের ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে বেরোতে হবে, নয়তো সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ৷" আরও একটা ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সুন্দরবনে প্রবল আকারে পানীয় জলের সংকটও দেখা দিতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

শুধু সুন্দরবনই নয়, তার পার্শ্ববর্তী দুই 24 পরগনা শহরাঞ্চল, কলকাতা, নদিয়াও বৃহত্তর গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের অংশ ৷ তবে এই অঞ্চলগুলিতে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক ভাঙা গড়ার কাজ হয় না ৷ বাংলার সবথেকে উর্বরতম জমি এই এলাকাগুলিতেই ৷ আমফান যেহেতু কলকাতা ছুঁয়ে বৃহত্তর গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের উপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে গিয়েছিল, তাই ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল ব্যাপক ৷ কিন্তু যশের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি ৷ এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক না নিয়ে ওডিশা হয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে গিয়েছে ৷ তাই ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, বর্ধমান, দুই 24 পরগনার মতো জেলাগুলি ৷ কিছুটা জল জমার সমস্যা, কৃষিজমির ক্ষয়ক্ষতি ও পানীয় জলের সংকট ছাড়া যশের কারণে দীর্ঘমেয়াদি কোনও সমস্যা হবে না এই জেলাগুলিতে ৷

Last Updated : May 26, 2021, 5:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.