ডায়মন্ড হারবার, 18 অক্টোবর: পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় 36 ঘণ্টা (36 hours passed) । এখনও হদিশ মেলেনি ডায়মন্ড হারবার ফেরিঘাট থেকে হুগলি নদীতে তলিয়ে যাওয়া দুই শিশু কন্যার দেহের । তাদের খোঁজে স্পিডবোট, ডুবুরি ও ড্রোন দিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে নদীতে (Search on in Hooghly River) ।
রবিবার তপসিয়ার একটি পরিবার ডায়মন্ড হারবারে ছুটি কাটাতে আসেন । সন্ধেয় কুঁকড়াহাটি থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে পরিবারের 6 সদস্য ফিরে আসছিলেন ভেসেলে করে ৷ ডায়মন্ড হারবার ফেরি ঘাটের কাছে ভেসেল থামার পর তড়িঘড়ি করে নামার সময় দুই শিশু হুগলি নদীতে পড়ে গিয়ে তলিয়ে যায় । নিখোঁজ শিশুদের নাম আতিফা পারভিন (6) , সীতারা নাজ (8) ৷
জানা গিয়েছে, দুটি ভেসেলের মাঝে ফাঁক ছিল । কিন্তু নামার সময় তা খেয়াল করেনি ওই দুই বোন । ফলে ফাঁক দিয়ে গলে তারা পড়ে যায় নদীতে । রাতেই শুরু হয় হয় তল্লাশি । ফেরিঘাটে যান খোদ এসডিও । সোমবার সারাদিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয় (Children Missing) ।
দুই শিশুর উদ্ধারের জন্য সোমবার বিকেলে এসে পৌঁছয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর 11 সদস্যের একটি দল । বিকেল থেকেই তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী । কিন্তু খোঁজ মেলেনি হুগলি নদীতে তলিয়ে যাওয়া ওই দুই শিশুর । পরিবারের লোকজনেরা দুশ্চিন্তায় হুগলির নদীর তীরে ভিড় জমিয়েছেন । মঙ্গলবার সকাল থেকেই আবারো তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে পুলিশ । কাকদ্বীপ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ডুবুরির দল । আকাশে ওড়ানো হয়েছে ড্রোন। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি (Bodies of Missing Children) ।
আরও পড়ুন: ভেসেল থেকে নামতে গিয়ে বিপত্তি, হুগলি নদীতে তলিয়ে গেল 2 শিশু
জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার পৌরসভা জেটিঘাট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে । ফলে এই দুর্ঘটনায় পৌরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । স্থানীয় বাসিন্দারা পৌরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে । ফেরিঘাটে কোনও সিসি ক্যামেরা বা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা কেন করা হয়নি, সে প্রশ্নও উঠেছে । ভেসেল থেকে জেটিতে ওঠা নামার সময় যাত্রী নিরাপত্তায় পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনও নজরদারির ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের ।