কাকদ্বীপ, 14 সেপ্টেম্বর : কাকদ্বীপ সহ সুন্দরবন পুলিশ জেলার বেশিরভাগ এলাকায় রমরমিয়ে চলছে বেআইনি কেরোসিন তেলের ব্যবসা। কেরোসিন তেল সরকারিভাবে রেশন কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই তেল গ্রাহকের কাছে না গিয়ে চোরাপথে পৌঁছে যাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে। কেরোসিন তেলের সঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে নকল ডিজেল বানানোর কাজ করছে কিছু অসাধু চক্র। রমরমিয়ে চলছে নকল ডিজেল তৈরির কাজ।
এরকম কার্যকলাপের বেশ কয়েকটি ঘটনা জানার পরে তদন্ত শুর করে সুন্দরবন জেলার পুলিশ। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, কাকদ্বীপের গণেশপুর পূর্ব বাজারের সোনাপট্টি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। তল্লাশি চালানোর সময় উদ্ধার করা হয় 6,400 লিটার কেরোসিন তেল ৷ উদ্ধার হয় কেরোসিন তেল থেকে ডিজেল বানানোর নানা উপকরণ। এই ঘটনায় অনুপ সিং ও বিরাট নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। তবে এই ব্যবসার মালিক পরিমল চন্দ্র পলাতক। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: গোসাবায় পর্যটক টানতে সেজে উঠছে বিশ্বকবির স্মৃতি জড়ানো বেকন বাংলো
ধৃতদেরকে গতকাল কাকদ্বীপ মহাকুমার আদালতে তোলা হয়। কাকদ্বীপ মহকুমার পুলিশ আধিকারিক অনিল কুমার রায় বলেন, "আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাকদ্বীপ পূর্ব বাজার এলাকায় পরিমল চন্দ্রের গুদামে হানা দিই ৷ সেখানেই দেখা যায় মজুত করা রয়েছে বেআইনি কেরোসিন তেল। বিভিন্ন কেরোসিন তেলের ডিলারদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে কেরোসিন তেল কিনত পরিমল। এই গুদামের থেকেই কেরোসিনের সঙ্গে বিশেষ কিছু রাসায়নিক পদার্থ উদ্ধার করা হয়। কেরোসিনের সঙ্গে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে বিক্রিয়াকরণের পরেই তৈরি করা হত নকল ডিজেল। আকাশছোঁয়া জ্বালানি তেলের দামে যখন হিমশিম খেতে হচ্ছে মালিকদের। এই নকল ডিজেল খুব সহজেই অল্প মূল্যে অসাধু চক্রের ব্যবসায়ীদের হাত ধরে পৌঁছে যাচ্ছে ট্রলার মালিকদের কাছে।" সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দ্রুত ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷