মগরাহাট, 10 জুন: আত্মীয়ের বাড়িতে এমন ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হবে নাবালিকা, তা কে জানত! মাসির বাড়িতে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণের শিকার! আর তার জেরে মৃত্যু বছর চোদ্দোর নাবালিকার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার মগরাহাট থানায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মগরাহাট থানা এলাকার নির্যাতিতা নাবালিকা ফলতায় তার মাসির বাড়িতে যায়। অভিযোগ, বাড়িতেই একাধিকবার ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে তার মাসির ছেলে। ঘটনার পর ওই নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়লে মাসির বাড়ির লোকজন 2 জুন ওই নাবালিকাকে নিজের বাড়ি মগরাহাটে পৌঁছে দেন।
পরে পরিবারের লোকজনকে ওই নাবালিকা জানায়, মাসির ছেলে তাকে একাধিকবার শারীরিক অত্যাচার করেছে। পরে ওই নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে 6 জুন ডায়মন্ড হারবারের হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল, শুক্রবার ভোরে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে ফলতা থানার পুলিশ। অন্যদিকে, মৃত নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কালিয়াচকে দেহ উদ্ধারের 17 দিন পর নাবালিকার বাড়িতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন, উঠছে প্রশ্ন
নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে এমন পরিণতি হবে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি ক্ষোভে ফুঁসছেন বাড়ির লোকজন থেকে স্থানীয় মানুষজন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঘটনার পরর্বতী তদন্ত শুরু করেছে। মৃত্যুর পর ওই নাবালিকার এক দাদা জানান, অসুস্থ অবস্থায় বোনকে মাসির বাড়ি থেকে বাড়ি দিয়ে আসা হলে একটু স্থিতিশীল হয়ে সে নিজেই জানায় তাকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছে।
পরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় পুনরায় তাকে হাসপাতালে ভরতি করলে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়। তবে সে নিজের মুখে যখন শারীরিক নির্যাতনের কথা বলেছে তাই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখন পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছে। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।