ঢোলাহাট, 28 জানুয়ারি: ডাকাতির ঘটনায় তদন্ত নেমে সুন্দরবন পুলিশ জেলা পুলিশের জালে 4 দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র (4 Miscreants Arrested with Arms)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, 2 জানুয়ারি মধ্যরাতে দক্ষিণ 24 পরগনার ঢোলাহাট থানার অন্তর্গত বাকুলতলা গ্রামের একটি বাড়িতে 5 জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট চালায়। বাড়ির মহিলাদের সোনার গয়না ও নগদ বেশ কিছু টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীরা।
এরপর পরিবারের লোকজনেরা খবর দেয় ঢোলাহাট থানায়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঢোলাহাট থানার পুলিশ। পুলিশ বাড়ির মহিলাদের বয়ান শুনে তদন্ত শুরু করে। তদন্ত নেমে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে ঢোলাহাট থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার করা হয় 4 দুষ্কৃতীকে। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম। এর পাশাপাশি উদ্ধার হয় চুরি করা সোনার গয়না ও নগদ টাকা। অভিযুক্তদের নাম ইদ্রিস মোল্লা, আয়নাল হক, সইফুদ্দিন গাজি, রউফ আলি মোল্লা।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদেরকে শনিবার অর্থাৎ আজ, কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে ঢোলাহাট থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতিপ্রকৃতি এগোতে চায় ঢোলাহাট থানা পুলিশ। ধৃতদেরকে জিজ্ঞাসা করে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা জানতে চায় পুলিশ। এই বিষয় মন্দিরবাজারের এসডিপিও বিশ্বজিৎ নস্কর জানান, 2 জানুয়ারি ঢোলাহাট থানা এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের সঙ্গে লড়ে ব্যাংক ডাকাতি রুখল দুই মহিলা কনস্টেবল
তিনি বলেন, "পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। গতকাল রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ঢোলাহাট থানার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযান চালানো হয়। তাতে গ্রেফতার হয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা ও সোনার গয়না। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হয়েছে।" ধৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা জানানো যাবে।