মগরাহাট, 9 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনের সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। চলেছে গুলি, হয়েছে বোমাবাজি ৷ এমনকী ব্যালট বক্স ছিনতাইয়ের ছবিও ধরা পড়েছে ইটিভি ভারতের ক্যামেরায় ৷ কোথাওবা পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে ব্যালট বক্স ৷ দিকে দিকে অভিযোগ উঠেছে ছাপ্পা ভোটের ৷ ভোট শেষেও অশান্তির রেশ অব্যাহত ৷ রবিবারও ভোট পরবর্তী হিংসায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ 24 পরগনার মগরাহাট ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে আহত হয়েছেন 3 পুলিশকর্মী ৷
শনিবারের রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে 'রক্তস্নাত' পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, কোচবিহার, বাঁকুড়া ও উত্তর দিনাজপুর থেকে উঠে এসেছে সবচেয়ে বেশি হিংসার খবর ৷ রবিবারও সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে অশান্তি ঘটনা সামনে এসেছে ৷ মগরাহাটের নৈনান এলাকায় তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে হঠাতই সংঘর্ষ শুরু হয় ৷
অভিযোগ, ঘটনার খবর পেয়ে মগরাহাট থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সেখানেই কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। ঘটনায় মাথা ফেটেছে পুলিশ কর্মীদের। আহত তিন পুলিশ কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন এসআই আরিফ মহম্মদ ও 2 কনস্টেবল। এদের মধ্যে এক কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকদের নির্দেশে তাঁকে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার পর নৈনান এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
তৃণমূলের ব্লক প্রধান বিজন মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, "রবিবার দলের কয়েকজন এক জায়গায় মিলিত হয়েছিলেন ৷ এরপর কংগ্রেস সমর্থকা তাঁদের দেখতে পেয়ে তেড়ে আসে ৷ তাঁরা সংখ্যায় বেশি ছিল ৷ কোনওক্রমে তাঁদের কর্মী ও দলের ছেলেরা বেঁচেছে ৷ এলাকা অশান্ত করে তুলছে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা ৷ আমরা শান্তি চাই ৷ তাই বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করা হলেও আমরা তাতে জড়াচ্ছি না ৷" এই ঘটনায় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করে ইটিভি ভারত ৷ কিন্তু তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভবপর হয়নি ৷
আরও পড়ুন: ভোট পর্ব মিটতেই মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা, আহত ডিএসপি