কাকদ্বীপ, 7 ফেব্রুয়ারি: বিয়ের টোপ দিয়ে এক কিশোরীকে (Girl lured into Prostitution) অপহরণ ও বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ । ধৃতরা বড়সড় নারী পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা ও একজন নাবালক । উদ্ধার হওয়া কিশোরীর বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে রবিবার রাতে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢোলাহাট থানার পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে । অভিযুক্ত দু'জনকে সোমবার দুপুরে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় । ধৃত নাবালককে তোলা হবে জুভেনাইল কোর্টে (Women Trafficking)।
বিয়ের টোপ দিয়ে ফাঁসায় নাবালক প্রেমিক: গত 29 জানুয়ারি ঢোলাহাট থানার এক নাবালিকাকে বিয়ের টোপ দিয়ে ডেকে পাঠায় স্থানীয় দক্ষিণ গঙ্গাধরপুরের এক নাবালক (South 24 Parganas News)। এর পর ওই নাবালিকাকে নিয়ে কলকাতায় চলে যায় সে । অভিযোগ, সেখান থেকে ওই নাবালিকাকে সোনাগাছির যৌনপল্লির এক এজেন্টের হাতে তুলে দেওয়া হয় । তারপর বালিগঞ্জ ও আরামবাগের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কয়েকজন যুবক তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ ।
লুকিয়ে বাড়িতে ফোন কিশোরীর: এরই মধ্যে পাচারকারীদের চোখ এড়িয়ে আরামবাগের হোটেল থেকে বেরিয়ে আসে সেই নাবালিকা ৷ সবার আড়ালে এক জায়গা থেকে বাড়িতে ফোন করে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে । পরিবারের লোকেদের সে সব কথা খুলে বলে ৷ সেই ফোনের সূত্র ধরে 31 জানুয়ারি ময়দান থানা এলাকার ধর্মতলা থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: বিয়ের নামে নারী পাচারের চেষ্টা, 5 দিনের পুলিশি হেফাজত অভিযুক্তের
গ্রেফতার নাবালক-সহ 3: তার বয়ানের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত । নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, বিয়ের টোপ দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল এক নাবালক ৷ এই কথা শুনে প্রথমে সেই নাবালক 'প্রেমিক'কে গ্রেফতার করে পুলিশ । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সোনাগাছির এক এজেন্ট মেহেরানা ওরফে তানিয়া খাতুন ও নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত পাথরপ্রতিমার জাইদুল শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।