কাকদ্বীপ, 23 অগস্ট: বাংলাদেশের ট্রলার ডুবির ঘটনায় পরপর কয়েকদিনে মোট 114 জন মৎস্যজীবী উদ্ধার করা হল(total 114 fishermen rescued in trawler sank incident)৷ 18 অগস্ট বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বাংলাদেশের একের পর এক ট্রলার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ৷ ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে উপকূলরক্ষী বাহিনী উদ্ধার কাজে নামে । উদ্ধার কাছে হাত লাগায় ভারতের উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীরাও ।
উদ্ধার কাজ চালিয়ে ভারতীয় উপকূলের ক্যানিং, কাকদ্বীপ, দিঘা, রায়দিঘি ও পাথরপ্রতিমা-সহ একাধিক জায়গা থেকে মোট 114 জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে(Bangladeshi Fishermen Rescued)উদ্ধার করা হয় । সম্প্রতি ক্যানিং থেকে 13 জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয় ৷ তাঁদের মধ্যে 9 জন মৎস্যজীবী বর্তমানে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশন এবং কাকদ্বীপ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের রাখা হয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার কাকদ্বীপে রামকৃষ্ণ আশ্রমের কাছে একটি সরকারি ফ্লাড সেন্টারে । উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের প্রতিদিন দু'বেলা দেওয়া হচ্ছে খাবার ৷ দেওয়া হয়েছে নতুন জামা কাপড়ও ৷
আরও পড়ুন : 24 ঘণ্টার মধ্যে আবার উদ্ধার 7 বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
এই বিষয়ে কাকদ্বীপ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, "নিম্নচাপ ও হঠাৎই ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশের মৎস্যজীবী ট্রলার বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায়(bangladeshi trawler sank incident)। এখনও পর্যন্ত বহু মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন । ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী ও মৎস্যজীবী ট্রলারদের সহযোগিতায় বঙ্গোপসাগর উপকূল থেকে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে । বেশিরভাগ মৎস্যজীবী সুস্থ রয়েছেন । আমাদের পক্ষ থেকে তাঁদের থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা করা হয়েছে । বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের দেশে ফেরানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার । আমরা চাই বাংলাদেশের সকল মৎস্যজীবী নিরাপদে নিজেদের দেশে ফিরে যাক ।"
আরও পড়ুন : বঙ্গোপসাগরে ডুবল বাংলাদেশের ট্রলার, উদ্ধার 11 জন মৎস্যজীবী