ETV Bharat / state

উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তায় জারি হলুদ সতর্কতা - Yellow alert issued in Teesta

গতকাল রাত থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা জলমগ্ন ৷ সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে যথাক্রমে তুফানগঞ্জে 235.60 মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ারে 290.20 মিলিমিটার, কোচবিহার 262.60 মিলিমিটার, মাথাভাঙায় 166.80 মিলিমিটার ৷

uttarbanga
uttarbanga
author img

By

Published : Jun 26, 2020, 4:47 AM IST

কোচবিহার, 25 জুন : রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা । কেশব রোড, সুভাষপল্লি, দেবীবাড়ি, সুনীতি রীড, গুঞ্জবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে । আজ সকাল পর্যন্ত জল জমে থাকায় বাসিন্দাদের একাংশ মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয় । বাসিন্দাদের অভিযোগ বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারনেই বৃষ্টির জেরে একটুতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা । নর্দমার জল উপচে বাড়িতে ঢুকে পড়ে । দুর্ভোগে পড়তে হয় বাসিন্দাদের । বৃহস্পতিবার সকালেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বিপর্যস্ত হয় কোচবিহারে জনজীবন ।

এদিন সিকিমে ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীতে হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচ দপ্তর । তিস্তা নদীর দোমহনী থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে । পাহাড়ে ব্যাপক বৃষ্টির ফলে গজল ডোবা তিস্তা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া হয় । ফলে তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় নদীর জল ঢুকে পরার আশঙ্কা রয়েছে । মালবাজার মহকুমা ও ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায় জল ঢুকে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে । ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ি ব্লক ও মালবাজার মহকুমার চাঁপাডাঙার বিস্তীর্ণ নিচু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । এই পরিস্থিতিতে নদীর বাঁধ ও নদী সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন সেচ দপ্তরের কর্মীরা । পাশাপাশি গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলছে আলিপুরদুয়ারেও ৷ ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারের প্রতিটি ব্লক জলমগ্ন ৷ ভুটান পাহাড়ে প্রবল বর্ষণের জেরে পাহাড় থেকে নেমে আসা 72টি নদী এবং ঝোড়াই জলস্রোত দেখা দিয়েছে ৷

গত 24 ঘণ্টার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও শিলিগুড়িতেও ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে । সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যথাক্রমে মালবাজারে 30.40 মিলিমিটার, ময়নাগুড়িতে 55.00 মিলিমিটার, তুফানগঞ্জে 235.60 মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে 17.80 মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ারে 290.20 মিলিমিটার, কোচবিহার 262.60 মিলিমিটার, মাথাভাঙায় 166.80 মিলিমিটার ও হাসিমারাতে 69.00 মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে । সেচ দপ্তরের SDO শান্তনু ধর বলেন,"তিস্তার জল বাড়াতে অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে । চলছে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি ।" এনিয়ে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিং বলেন, ইতিমধ্যে জল জমা এলাকাগুলিতে নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য পৌরসভার কর্মীদের পাঠানো হয়েছে । রাতভর বৃষ্টিতে জল বাড়ছে তোর্ষা নদীতেও । তবে এখনই চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন সেচ দপ্তরের কর্তারা ।

কোচবিহার, 25 জুন : রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা । কেশব রোড, সুভাষপল্লি, দেবীবাড়ি, সুনীতি রীড, গুঞ্জবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে । আজ সকাল পর্যন্ত জল জমে থাকায় বাসিন্দাদের একাংশ মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয় । বাসিন্দাদের অভিযোগ বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারনেই বৃষ্টির জেরে একটুতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা । নর্দমার জল উপচে বাড়িতে ঢুকে পড়ে । দুর্ভোগে পড়তে হয় বাসিন্দাদের । বৃহস্পতিবার সকালেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বিপর্যস্ত হয় কোচবিহারে জনজীবন ।

এদিন সিকিমে ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীতে হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচ দপ্তর । তিস্তা নদীর দোমহনী থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে । পাহাড়ে ব্যাপক বৃষ্টির ফলে গজল ডোবা তিস্তা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া হয় । ফলে তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় নদীর জল ঢুকে পরার আশঙ্কা রয়েছে । মালবাজার মহকুমা ও ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায় জল ঢুকে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে । ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ি ব্লক ও মালবাজার মহকুমার চাঁপাডাঙার বিস্তীর্ণ নিচু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । এই পরিস্থিতিতে নদীর বাঁধ ও নদী সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন সেচ দপ্তরের কর্মীরা । পাশাপাশি গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলছে আলিপুরদুয়ারেও ৷ ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারের প্রতিটি ব্লক জলমগ্ন ৷ ভুটান পাহাড়ে প্রবল বর্ষণের জেরে পাহাড় থেকে নেমে আসা 72টি নদী এবং ঝোড়াই জলস্রোত দেখা দিয়েছে ৷

গত 24 ঘণ্টার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও শিলিগুড়িতেও ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে । সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যথাক্রমে মালবাজারে 30.40 মিলিমিটার, ময়নাগুড়িতে 55.00 মিলিমিটার, তুফানগঞ্জে 235.60 মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে 17.80 মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ারে 290.20 মিলিমিটার, কোচবিহার 262.60 মিলিমিটার, মাথাভাঙায় 166.80 মিলিমিটার ও হাসিমারাতে 69.00 মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে । সেচ দপ্তরের SDO শান্তনু ধর বলেন,"তিস্তার জল বাড়াতে অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে । চলছে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি ।" এনিয়ে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিং বলেন, ইতিমধ্যে জল জমা এলাকাগুলিতে নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য পৌরসভার কর্মীদের পাঠানো হয়েছে । রাতভর বৃষ্টিতে জল বাড়ছে তোর্ষা নদীতেও । তবে এখনই চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন সেচ দপ্তরের কর্তারা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.