কোচবিহার, 23 অগস্ট: মহিলার পায়ে ছোবল মেরেছিল একটি সাপ ৷ তবে, এক মুহূর্তও দেরি করেননি প্রণিতা ভকত নামে ওই মহিলা ৷ সাপটিকে ধরে ফেলেন এবং সেই সাপ নিয়ে সোজা চলে যান কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে (Woman Reaches to Tufanganj Hospital With a Snake) ৷ সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাংলা-অসম সীমানা সংলগ্ন ধুবড়ি জেলার জিনকাটা গ্রামে ৷
কিন্তু, কীভাবে প্রণিতা ভকতকে সাপে ছোবল দিল (Snake Bites) ? জানা গিয়েছে, বাড়িতে কাজ করছিলেন তিনি ৷ সেই সময়ই একটি সাপ তাঁকে ছোবল মারে ৷ চিৎকার করে ওঠেন তিনি ৷ বাড়ির লোকজন গিয়ে দেখেন, একটি সাপ তাঁর পাশে ঘোরাঘুরি করছে ৷ তৎক্ষণাত প্রণিতা দেবীর খুড়শ্বশুর প্রায় 5 ফুট লম্বা সাপটিকে ধরে একটি কৌটোতে ভরে ফেলেন ৷
তবে, প্রথমেই প্রণিতা ভকতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি ৷ বাড়ির লোকজন এক ওঝার কাছে সাপ-সহ মহিলাকে নিয়ে যান ৷ সেখানে কিছু না হওয়ায়, কোচবিহারে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে মহিলাকে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন ৷ কৌটোবন্দি সাপ দেখে হাসপাতালে হইচই পড়ে যায় ৷ চিকিৎসক প্রণিতার ক্ষতস্থান পরীক্ষা করে জানান, যে সাপটি ছোবল দিয়েছে সেটি বিষধর নয় ৷ খবর পেয়ে, হাসপাতালে যান কোচবিহার জেলার সর্প বিশেষজ্ঞ প্রতীক সরকার ৷
আরও পড়ুন: কুসংস্কারের বলি খোদ ওঝা, সাপের কামড়ে সময়ে হাসপাতালে না যাওয়ায় মৃত্যু
তিনি জানিয়েছেন, যে সাপটি প্রণিতা ভকতকে ছোবল মেরেছে, সেটি দাঁড়াশ ৷ যা মূলত বাস্তু সাপ বলে পরিচিত ৷ তবে, যেহেতু ছোবল দিয়েছে, তার ফলে কিছু সমস্যা হতেই পারে ৷ তাই সময়ে চিকিৎসা করাটা জরুরি ৷ এ নিয়ে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক মৃণালকান্তি অধিকরী জানান, সাপটি বিষধর না হলেও, সময়ে চিকিৎসা জরুরি ৷ আর কোন সাপ ছোবল দিয়েছে, তা জানা থাকলে চিকিৎসা করতে সুবিধা হয় ৷