কোচবিহার, 9 সেপ্টেম্বর: বিজেপি কর্মী (BJP Worker) রাখাল দাস ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা (Union Minister John Barla)। শুক্রবার বিকেলে তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভাকে নিয়ে রামপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত বিজেপি কর্মী রাখাল দাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
একসঙ্গে বিজেপি কর্মী রাখাল দাসের স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, "পুলিশ ঠিকঠাক করে কাজ করছে না। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। ঘটনার এতদিন হয়ে গেলেও এখনও মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।" তিনি আরও জানান, পুলিশ অভিযুক্তদের পাহারা দিচ্ছে ।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) পর থেকে বিজেপি কর্মী রাখাল দাস দীর্ঘদিন বাড়ি ছাড়া ছিলেন। গত 2 সেপ্টেম্বর বাড়ি ফিরতেই তাঁকে মারধর করে ও তাঁর স্ত্রীকে গালিগালাজ করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এরপরই সেদিনই সন্ধ্যায় বিজেপি কর্মী রাখাল দাসের স্ত্রীর রূপা দাস স্থানীয় তৃণমূল নেতা মংলু বর্মনের বাড়িতে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আবারও পরেশের সিবিআই হাজিরা
পরে তাঁকে উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ ঘটনায় অজিত বর্মন নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে । গত 5 সেপ্টেম্বর রূপা দাসকে দেখতে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । সেদিনই সন্ধ্যায় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রূপা দাস (BJP Worker Rupa Das Died by Suicide)। এরপরেই শুক্রবার বিজেপি কর্মী রাখাল দাসের বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা-সহ বিজেপির প্রতিনিধি দল। রাখাল দাস পুলিশের উপর ভরসা না-পেয়ে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন ।