কোচবিহার, 24 জুন: এলাকায় আসলেও দলের প্রচারে না গিয়ে সোজা চলে গেলেন হোটেলে। পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র এই কাণ্ড দেখে বেজায় চটে লাল তৃণমূলেরই এক কর্মী। মন্ত্রীকে প্রচারের আসার অনুরোধ করেও লাভ না হওয়ায় বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে রীতিমতো বিবাদে জড়ালেন তৃণমূল কর্মী। পালটা তৃণমূল কর্মীকে ধমক দিলেন বাবুলও ৷ যার জেরে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
শনিবার কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের জামালদহে নির্বাচনী প্রচারে আসেন বাবুল সুপ্রিয়। এদিন জামালদহ পাঠাগার এলাকায় সভা ছিল বাবুলের। এলাকায় আরও বেশ কিছু জনসভাও ছিল তাঁর। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, জামালদহ পাঠাগার এলাকায় সভার সময়সূচি ছিল এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে। অভিযোগ, কিন্তু বাবুল সুপ্রিয় আসেন প্রায় 20 মিনিট পর। জানা গিয়েছে, একবার সভার কাছে আসলেও লোকজন কম থাকায় ফিরে যান তিনি ৷ অন্য আরও একটি কর্মসূচিতে চলে গিয়েছিলেন বাবুল। আর সেখান থেকেই আসতে দেরি করেন বাবুল ৷ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দলের কর্মীরা। এরপর সভা স্থলে মন্ত্রী এলে তাঁকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের স্থানীয় নেতৃত্ব রাজিব রায় ৷
স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্বের দাবি, একবার এসে ফিরে গেলেনও, পরে অনেক দেরি করে আসেন বাবুল ৷ তাঁকে ঘিরে এরপর বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলের কর্মীরা ৷ বাবুলের কাছ থেকে উত্তরও চাওয়া হয় ৷ এরপরই দলের কর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে, বাবুলের তরফে জানানো হয়, কার্যত দলের সভায় জোর করে গাড়ি ঢুকিয়ে সভাস্থলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কর্মীরা। পরে অবশ্য সভায় যোগ দেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী। একই সঙ্গে, সভায় দলের সেই নেতাকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে কথাও বলেন বাবুল সুপ্রিয়।
আরও পড়ুন: আদ্রায় তৃণমূল নেতা খুনে অপরাধীদের ধরতে 48 ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল
এই বিষয়ে মেখলিগঞ্জ ব্লক যুব তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতিষ রায় বলেন, "ছোট ঘটনা ৷ বেশ কিছু সময় বাবুলের জন্য অপেক্ষা করার জন্য কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। তেমন কিছুই হয়নি ৷ বিষয়টি মিটে গিয়েছে। একাধিক কর্মসূচি একই দিনে থাকায় সময় নির্ধারণে সমস্যা হয়েছিল।" অন্যদিকে, এই ঘটনা তৃণমূলের নিজস্ব কালচার বলে কটাক্ষ করেন মেখলিগঞ্জ মহকুমা বিজেপির কনভেনর পবন ভাদানি। তিনি বলেন, "এটা হবেই ৷ তৃণমূলে সব নেতা চোর ৷ আরও অনেক কিছুই দেখতে হবে।"