কোচবিহার, 11 ফেব্রুয়ারি: কলকাতা হাইকার্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে গ্রুপ ডি'র চাকরি গেল কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা -2 ব্লকের যুব তৃণমূল নেতা ধনীরাম বর্মনের । ফালাকাটার লছমনডাবরি হাইস্কুলে কর্মরত ছিলেন তিনি । 2018 সালে চাকরি পেয়েছিলেন ধনীরাম । যদিও এই নেতার দাবি, তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন । চাকরি পাওয়ার পরে 2019 সালে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি । 2022 সালে যুব তৃণমূল-এর ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন ধনীরাম ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 10 মিনিটে 1 হাজার 911 জন গ্রুপ ডি'র চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন । সেই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে । চাকরি বাতিলের পাশাপাশি কয়েক কিস্তিতে বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । ইতিমধ্যে কোন জেলার কত স্কুলে সেই চাকরি প্রাপকেরা রয়েছেন, তা নিয়েও শোরগোল পড়ে গিয়েছে । সেই বাতিলের তালিকায় নাম রয়েছে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা -2 ব্লকের যুব তৃণমূল নেতা ধনীরাম বর্মনের। গত 2018 সালে তিনি ফালাকাটার লছমনডাবরি হাইস্কুলে চাকরি পেয়েছেন ।
এদিন তিনি বলেন, "দুর্নীতি করে নয়, পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। গত পাঁচ বছর ধরে আমি স্কুলে চাকরি করছি ৷ আমি নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছি, এটা আমি 100 শতাংশ নিশ্চিত ৷ আমার কথা না-শুনে এসএসসি যে ওয়েমার সিট বের করেছে, আমি নিশ্চিত সেটা আমার নয় ৷ তাই আইনের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে ৷ আমি গোটা বিষয়টি নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হব । তারপর যা রায় হবে আমি মেনে নেব ৷"
যুব তৃণমূল নেতার গ্রুপ ডি'র চাকরি বাতিল হওয়ার খবরে শাসকদলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক বিরাজ বোস বলেন, "তৃণমূল নানান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ৷ যোগ্যদের চাকরি না-দিয়ে নিজেরাই চাকরি লুটেপুটে নিয়েছে ৷ মাথাভাঙার ঘটনাই তার প্রমাণ। এদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত।"
এসএফআই'য়ের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শুভ্রালোক দাস বলেন, "লক্ষ লক্ষ যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিয়েছে তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। লজ্জা থাকলে ওই নেতা মানুষের সামনে মুখ দেখাত না ।" যদিও ধনীরাম বর্মন বলেন, "বিজেপি তো অভিযোগ করবেই । আমি চাকরি পেয়েছি 2018 সালে । আর 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের পর যখন বিজেপি ঝামেলা শুরু করল তখন তৃণমূলে যোগ দিই । কাজেই এগুলো অবাস্তব ।"
আরও পড়ুন: চাকরি গেল 1 হাজার 911 জন গ্রুপ-ডি কর্মীর, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের