মেখলিগঞ্জ, 23 অগাস্ট : লক্ষাধিক সারের বস্তা বিক্রি ও কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে জামালদহে বেশকিছু অবৈধ গোডাউনসহ অফিস সিল করল কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা ৷ জামালদহ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ বর্মণের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সারের বস্তা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ, প্রায় দু'লাখ সারের বস্তা অবৈধভাবে তিনি নিজের পরিচিত সার ব্যবসায়ীদের গোডাউনে রেখে সেগুলো বিক্রি করতেন অন্যান্য সার ব্যবসায়ীদের কাছে ৷
BJP-র অভিযোগ, প্রায় দুই লাখ সারের বস্তা সমবায় সমিতির গোডাউনে না রেখে অন্যের গোডাউনে রাখতেন তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ । এ বিষয়ে এলাকার কৃষকরা মেখলিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অভিযোগ পেয়ে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা অবৈধ গোডাউনগুলো সিল করে দেন ৷ পুলিশ অভিযুক্ত ধনীপ্রসাদ বর্মণকে গ্রেপ্তার করে ৷ কিন্তু গ্রেপ্তারের 24 ঘণ্টা পর তিনি ছাড়া পেয়ে যান ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মেখলিগঞ্জ থানায় সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো কৃষক ও BJP কর্মী ৷ মেখলিগঞ্জের BJP নেতা দধিরাম রায় জানান, কৃষকদের উন্নয়নের জন্য সরকারের বরাদ্দ দুই লাখ টাকার সারের বস্তা ধনীপ্রসাদ বর্মণ অন্যদের গোডাউনে অবৈধ ভাবে রেখে বিক্রি করেছেন ৷ শুধু তাই নয়, হাজার হাজার কৃষকের কাছে চড়া দামে সারের বস্তা বিক্রি করতেন ৷ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেই ছেড়ে দিয়েছে, কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ আসলে পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে ৷ স্থানীয় BJP নেতা ননীগোপাল রায় বসুনিয়া বলেন, "মোট ছয়টি গোডাউন সিল করে ব্লক প্রশাসন ৷ সমবায় সমিতি থেকে নায্য মূল্যে সার পাওয়ার কথা থাকলেও সাধারণ মানুষ তা পাচ্ছেন না ৷ এজন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি ৷ "
আরও পড়ুন : শীতলকুচিতে তৃণমূল-BJP সংঘর্ষ
কৃষি দপ্তরের আধিকারিক অমিতকুমার দাস বলেন, "গোডাউনে থাকা সারের বস্তাগুলো অবৈধ ৷ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷" কৃষিতে উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি হয়েছে কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি ৷ মেখলিগঞ্জেও তৈরি হয়েছিল জামালদহ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ৷ কিন্তু সমিতির বরাদ্দ সারের বস্তা অবৈধভাবে বিক্রি করেন তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ বর্মণ ৷ জামিনের পর থেকে এলাকা থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ৷