ETV Bharat / state

কৃষকদের না দিয়ে 2 লাখ সারের বস্তা বিক্রি তৃণমূল নেতার ! - go-down seal

ক্ষাধিক সারের বস্তা বিক্রি ও কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে জামালদহে বেশকিছু অবৈধ গোডাউনসহ অফিস সিল করল কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা ৷ অভিযোগ, ওই সমিতির দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা প্রায় দু'লাখ সারের বস্তা অবৈধভাবে নিজের পরিচিত সার ব্যবসায়ীদের গোডাউনে রেখে সেগুলো বিক্রি করতেন অন্যান্য সার ব্যবসায়ীদের কাছে ৷

BJPর বিক্ষোভ
author img

By

Published : Aug 23, 2019, 10:51 AM IST

Updated : Aug 23, 2019, 1:58 PM IST

মেখলিগঞ্জ, 23 অগাস্ট : লক্ষাধিক সারের বস্তা বিক্রি ও কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে জামালদহে বেশকিছু অবৈধ গোডাউনসহ অফিস সিল করল কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা ৷ জামালদহ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ বর্মণের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সারের বস্তা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ, প্রায় দু'লাখ সারের বস্তা অবৈধভাবে তিনি নিজের পরিচিত সার ব্যবসায়ীদের গোডাউনে রেখে সেগুলো বিক্রি করতেন অন্যান্য সার ব্যবসায়ীদের কাছে ৷

BJP-র অভিযোগ, প্রায় দুই লাখ সারের বস্তা সমবায় সমিতির গোডাউনে না রেখে অন্যের গোডাউনে রাখতেন তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ । এ বিষয়ে এলাকার কৃষকরা মেখলিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অভিযোগ পেয়ে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা অবৈধ গোডাউনগুলো সিল করে দেন ৷ পুলিশ অভিযুক্ত ধনীপ্রসাদ বর্মণকে গ্রেপ্তার করে ৷ কিন্তু গ্রেপ্তারের 24 ঘণ্টা পর তিনি ছাড়া পেয়ে যান ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মেখলিগঞ্জ থানায় সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো কৃষক ও BJP কর্মী ৷ মেখলিগঞ্জের BJP নেতা দধিরাম রায় জানান, কৃষকদের উন্নয়নের জন্য সরকারের বরাদ্দ দুই লাখ টাকার সারের বস্তা ধনীপ্রসাদ বর্মণ অন্যদের গোডাউনে অবৈধ ভাবে রেখে বিক্রি করেছেন ৷ শুধু তাই নয়, হাজার হাজার কৃষকের কাছে চড়া দামে সারের বস্তা বিক্রি করতেন ৷ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেই ছেড়ে দিয়েছে, কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ আসলে পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে ৷ স্থানীয় BJP নেতা ননীগোপাল রায় বসুনিয়া বলেন, "মোট ছয়টি গোডাউন সিল করে ব্লক প্রশাসন ৷ সমবায় সমিতি থেকে নায্য মূল্যে সার পাওয়ার কথা থাকলেও সাধারণ মানুষ তা পাচ্ছেন না ৷ এজন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি ৷ "

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন : শীতলকুচিতে তৃণমূল-BJP সংঘর্ষ

কৃষি দপ্তরের আধিকারিক অমিতকুমার দাস বলেন, "গোডাউনে থাকা সারের বস্তাগুলো অবৈধ ৷ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷" কৃষিতে উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি হয়েছে কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি ৷ মেখলিগঞ্জেও তৈরি হয়েছিল জামালদহ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ৷ কিন্তু সমিতির বরাদ্দ সারের বস্তা অবৈধভাবে বিক্রি করেন তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ বর্মণ ৷ জামিনের পর থেকে এলাকা থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ৷

মেখলিগঞ্জ, 23 অগাস্ট : লক্ষাধিক সারের বস্তা বিক্রি ও কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে জামালদহে বেশকিছু অবৈধ গোডাউনসহ অফিস সিল করল কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা ৷ জামালদহ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ বর্মণের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সারের বস্তা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ, প্রায় দু'লাখ সারের বস্তা অবৈধভাবে তিনি নিজের পরিচিত সার ব্যবসায়ীদের গোডাউনে রেখে সেগুলো বিক্রি করতেন অন্যান্য সার ব্যবসায়ীদের কাছে ৷

BJP-র অভিযোগ, প্রায় দুই লাখ সারের বস্তা সমবায় সমিতির গোডাউনে না রেখে অন্যের গোডাউনে রাখতেন তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ । এ বিষয়ে এলাকার কৃষকরা মেখলিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ অভিযোগ পেয়ে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা অবৈধ গোডাউনগুলো সিল করে দেন ৷ পুলিশ অভিযুক্ত ধনীপ্রসাদ বর্মণকে গ্রেপ্তার করে ৷ কিন্তু গ্রেপ্তারের 24 ঘণ্টা পর তিনি ছাড়া পেয়ে যান ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মেখলিগঞ্জ থানায় সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো কৃষক ও BJP কর্মী ৷ মেখলিগঞ্জের BJP নেতা দধিরাম রায় জানান, কৃষকদের উন্নয়নের জন্য সরকারের বরাদ্দ দুই লাখ টাকার সারের বস্তা ধনীপ্রসাদ বর্মণ অন্যদের গোডাউনে অবৈধ ভাবে রেখে বিক্রি করেছেন ৷ শুধু তাই নয়, হাজার হাজার কৃষকের কাছে চড়া দামে সারের বস্তা বিক্রি করতেন ৷ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেই ছেড়ে দিয়েছে, কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ আসলে পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে ৷ স্থানীয় BJP নেতা ননীগোপাল রায় বসুনিয়া বলেন, "মোট ছয়টি গোডাউন সিল করে ব্লক প্রশাসন ৷ সমবায় সমিতি থেকে নায্য মূল্যে সার পাওয়ার কথা থাকলেও সাধারণ মানুষ তা পাচ্ছেন না ৷ এজন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি ৷ "

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন : শীতলকুচিতে তৃণমূল-BJP সংঘর্ষ

কৃষি দপ্তরের আধিকারিক অমিতকুমার দাস বলেন, "গোডাউনে থাকা সারের বস্তাগুলো অবৈধ ৷ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷" কৃষিতে উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি হয়েছে কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি ৷ মেখলিগঞ্জেও তৈরি হয়েছিল জামালদহ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ৷ কিন্তু সমিতির বরাদ্দ সারের বস্তা অবৈধভাবে বিক্রি করেন তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ বর্মণ ৷ জামিনের পর থেকে এলাকা থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ৷

Intro:কোচবিহারে তৃনমূল নেতার বিরূদ্ধে দুই লক্ষ সারের বস্তা গায়েবের অভিযোগ ,সিল গোডাইন,বিক্ষোভ বিজেপির ৷

কোচবিহার :২২ আগষ্ট :

কৃষকদের কৃষিকাজে উন্নয়ন করার জন্য তৈরি হয়েছে কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি ৷ কৃষিকাজে সব প্রকারের রাসায়নিক সার এখানে থেকে সরকারী নির্দেশ মোতাবেক ন্যায্য মূল্যে দেওয়া হয় কৃষকদের ৷কোচবিহারের বেশ কয়েকটি এরকম সমবায় সমিতি আছে ৷ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের "জামালদহ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির " দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ বর্মণ ৷ তৃণমূল নেতা ধনীপ্রসাদ বর্মণ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি এই সমবায় সমিতি পরিচালনা করেন ৷ অভিযোগ প্রায় দুই লক্ষ বিভিন্ন প্রকার সারের বস্তা অবৈধভাবে তিনি তাঁর পরিচিত সার ব্যবসায়ীদের গোডাউনে রেখে সেগুলো বিক্রি করতেন অন্যান্য সার ব্যবসায়ী দের কাছে ৷একাধিক ট্রাকের পর ট্রাক সার তিনি সরকারী ভাবে কৃষকদের না দিয়ে বিক্রি করতেন অন্যত্র ৷ইতিপূর্বে চারটি গোডাউনে সংশ্লিষ্ট বিডিও নির্দেশে সিল করে দেন কৃষি দপ্তরের অধিকারীকরা৷আজ ফের মেখলিগঞ্জ পুলিশকে সঙ্গে দুটো গোডাউন সিল করে ব্লক প্রশাসন ৷ধনীপ্রসাদ বর্মন এলাকার দাপুটে তৃনমূল নেতা এবং প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদেস্য ৷পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসন ওই কৃষি সমবায় সমিতির অবৈধ গোডাউন সহ সংশ্লিষ্ট অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন ৷অভিযুক্ত তৃনমূল নেতা ধনীপ্রসাদ বর্মন গ্রেপ্তার হওয়ার পরে ছাড়া পেয়ে যান বলে অভিযোগ ৷ কিন্তূ ধনীপ্রসাদ বাবুকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না ৷ ওনার মোবাইলে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় ,কিন্তূ ওফ থাকে মোবাইল ৷


বিজেপির অভিযোগ ,কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতি এবং প্রায় দুই লক্ষ সারের বস্তা অবৈধ ভাবে অন্যের গোডাউনে রাখতেন তৃনমূল নেতা ধনী প্রসাদ বর্মন৷ ঐ বিষয়ে এলাকার কৃষকরা মেখলিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা অবৈধ গোডাউন গুলিতে সিল করে দেয় ৷এরপর ,পুলিশ অভিযুক্ত ধনীপ্রসাদ বর্মনকে গ্রেপ্তার করে ৷ কিন্তূ ,গ্রেপ্তারের ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই তিনি ছাড়া পেয়ে যান ৷ ঐ ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকাকে দায়ী করেন ৷পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবারই বিকেলে মেখলিগঞ্জ থানায় সামনে বিক্ষোভ দেখাঁন কয়েকশ কৃষক এবং বিজেপি কর্মীরা ৷


মেখলিগঞ্জ বিজেপি নেতা দধিরাম রায় অভিযোগ করে জানান "কৃষকদের উন্নয়নের জন্য সরকার বরাদ্দ দুই লক্ষ সারের বস্তা তিনি অন্যদের গোডাউনে অবৈধ ভাবে রেখে বিক্রি করেছেন ৷ শুধু তাই নয় হাজার হাজার কৃষকদের কাছে বিক্রি করা সারের দাম বেশি করে নিতেন ৷ পুলিশ তাকে অভিযুক্ত ধনীপ্রসাদ কে গ্রেপ্তার করেই ছেড়ে দিয়েছেন ,কোন ব্যবস্থা নেন নি ৷ পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে "৷

স্থানীয় বিজেপি নেতা ননীগোপাল রায় জানান "মোট ৬ টি গোডাউন সিল করে ব্লক প্রশাসন৷ আগে বামফ্রন্ট এবং তৃনমূলের অন্য নেতাদের টাকা খাইয়ে তার অবৈধ কাজ চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন ,কিন্ত ,আমরা বিজেপি কর্মীরা সেটা করতে দেবো না ,বিজেপিকর্মীরা ঐ বিরাট দুর্নীতির প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাবো ৷ "


সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক অমিত কুমার দাস (ADM ) নিজের হাতেই সিল করেন ৬ টি গোডাউন৷ তিনি জানান "কয়েকটি গোডাউন সিল করেছি ,আজকে দুটোতে সিল করলাম ,এই সার বস্তা গুলো অবৈধ ৷ ক্ষতিয়ে দেখছি ,ঐ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে "৷Body:COB Conclusion:
Last Updated : Aug 23, 2019, 1:58 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.