কোচবিহার, 26 জুন : তিনবিঘার শহিদ পরিবারগুলিকে নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির টানাপোড়েন অব্যাহত ৷ বিগত বছরগুলির মতো এবারও তৃণমূল ও বিজেপি শহিদ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে ৷ শনিবার তিনবিঘা শহিদ দিবস উপলক্ষে আরও প্রকট হয়ে উঠেছে এই দড়ি টানাটানি ৷
আরও পড়ুন : জন বারলার বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কোচবিহারে জমি ফেরত পেতে মরিয়া তৃণমূল
এদিন, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ ওই শহিদ পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ যদিও বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ শহিদ পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের সাফ কথা, প্রতিবারই তাঁদের এমন অনেক আশ্বাস দেওয়া হয় ৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না ৷ এদিন তিনবিঘা শহিদ দিবস উপলক্ষে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ ৷ শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীও ৷ আলাদা আলাদা ভাবে তিনবিঘার শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তাঁরা ৷
প্রসঙ্গত, 1992 সালে তিনবিঘা করিডর চুক্তি কার্যকর করার দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন মৃত্যু হয় দুই আন্দোলনকারীর ৷ এরপর 1992 সালেরই 26 জুন তিনবিঘা চুক্তি কার্যকর হয় ৷ তারপর থেকে প্রতি বছরই এই দিনটিকে তিনবিঘা দিবস হিসেবে পালন করে বিভিন্ন দল ও সংগঠন ৷
আরও পড়ুন : ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণের
এবারও তিনবিঘা দিবস উপলক্ষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতারা শহিদদের শ্রদ্ধা জানান ৷ পরে দিলীপ বলেন, তাঁরা এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন ৷ এবং তাঁরা শহিদ পরিবারগুলির পাশে রয়েছেন ৷ অন্যদিকে, এদিন দুপুরে শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী ৷ পরে তিনি বলেন, ‘‘শহিদ পরিবারগুলির পাশে আমি সবসময় থাকি ৷ শহিদ পরিবারগুলির সদস্যরা কর্মসংস্থানের আবেদন জানিয়েছেন ৷ ওঁদের আবেদন খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷’’