কোচবিহার, 26 এপ্রিল : কোরোনা মোকাবিলায় তৎপর কোচবিহার জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের উদ্যোগে কোচবিহারের আন্তঃজেলা সীমান্তগুলিতে নাকা তল্লাশির পাশাপাশি এবার থার্মাল স্ক্রিনিং চালু করা হল ৷ পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দারা কোনওভাবেই যাতে কোচবিহারে বিনা থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে ঢুকতে না পারেন সেই জন্য মাথাভাঙা 2 নম্বর ব্লকের চাবাগান সংলগ্ন এলাকায় থার্মাল স্ক্রিনিং সেন্টার চালু করা হল ।
24 ঘণ্টা পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট চলছে ৷ গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া ৷ কোচবিহার-আলিপুরদুয়ারের আন্তঃজেলা সীমান্ত এলাকায় পুলিশি চেকপোস্টেই তৈরি করা হয়েছে এই স্ক্রিনিং টেস্ট কেন্দ্র । স্বাস্থ্য বিভাগের কোরোনা প্রতিরোধে নিযুক্ত কর্মীরা এবং পুলিশকর্মীরা যৌথ উদ্যোগে এই কাজ করছেন । 24 ঘণ্টাই এই প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গেছে । লকডাউনের সময়েও আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির বহু মানুষ নানান কাজে কোচবিহারে আসছেন । পুলিশের তরফে তাঁদের চিহ্নিত করা যাচ্ছিল না । এখন ওই স্ক্রিনিং সেন্টার চালু হওয়ায় সহজে মানুষজনকে চিহ্নিত করা যাবে বলে মনে করছে জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ ।
এই বিষয়ে ঘোকসাডাঙা থানার OC দেবাশিস রায় বলেন, "গতকাল থেকে জেলা সীমান্তের ওই চেকপোস্টে থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট শুরু হয়েছে । এখন থেকে জাতীয় সড়ক ধরে কোনও মানুষ কোচবিহার জেলায় ঢুকতে চাইলে তাঁর থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট করা হবে । গাড়ি চালক ও পথচলতি মানুষদের থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট করার পর তাঁদের নাম ও মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করে রাখা হবে । 24 ঘণ্টা পুলিশের তরফে নজরদারির সঙ্গে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে ৷"