ETV Bharat / state

এখনও বায়না হয়নি দুর্গা প্রতিমার, কালো মেঘ কুমোরটুলিতে

কোচবিহারের হেডপোস্ট অফিসের পিছনে এবং দিনহাটার শীতলাবাড়িতে রয়েছে কুমোরটুলি । স্বাধীনতার পরবর্তীতে ওপার বাংলা থেকে এপারে এসে প্রতিমা বানানোর কাজ করেন মৃৎশিল্পীরা ৷ পূর্ব পুরুষদের সেই পেশা এখনও ধরে রেখেছেন কয়েকজন মৃৎশিল্পী ।

কুমোরটুলিতে বায়না হয়নি দুর্গা প্রতিমার
কুমোরটুলিতে বায়না হয়নি দুর্গা প্রতিমার
author img

By

Published : Aug 15, 2020, 8:42 PM IST

কোচবিহার, 15 অগাস্ট : শরৎ আসন্ন ৷ নদীর তীরে অল্প বিস্তর দেখা যাচ্ছে কাশফুল ৷ নীল আকাশে মাঝে মাঝেই ভাসছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ৷ আর এই সবই মনে করাচ্ছে সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে । কিন্তু মন ভালো নেই কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের । কোরোনার কারণে এবার এখনও প্রতিমার বায়না হয়নি । আদৌ কোচবিহার জেলাতে এবার দুর্গা পুজো হবে তো? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন মৃৎশিল্পীদের কাছে ।

কোচবিহার এর হেডপোস্ট অফিসের পেছনে এবং দিনহাটার শীতলাবাড়িতে রয়েছে কুমোরটুলি । স্বাধীনতার পরবর্তীতে ওপার বাংলা থেকে এপারে এসে প্রতিমা বানানোর কাজ করেন মৃৎশিল্পীরা ৷ পূর্ব পুরুষদের সেই পেশা এখনও ধরে রেখেছেন কয়েকজন মৃৎশিল্পী ।

এখানের তৈরি দুর্গাপ্রতিমা কোচবিহার জেলার বিভিন্ন মহকুমার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা আলিপুরদুয়ার এবং নিম্ন অসমের ধুবড়ি, কোকরাঝাড়, বঙ্গাইগাও, বিজনি সহ বিভিন্ন এলাকায় যায় । মহালয়ার আগেই ওইসব এলাকার পুজো মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা চলে যায় । তাই বৈশাখ মাস থেকেই কুমোরটুলির বিভিন্ন ঘরে দুর্গাপ্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয় ।

বায়না হয়নি দুর্গা প্রতিমার, আশঙ্কায় কোচবিহারের কুমোরটুলি

শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে অধিকাংশ দুর্গাপ্রতিমার 70 শতাংশ কাজ হয়ে যায় । পাশাপাশি বায়নাও সম্পূর্ণ হয়ে যায় । কিন্তু কোরোনা পরিস্থিতির কারণে এপ্রিল মাস থেকে সমস্ত পুজো বন্ধ রয়েছে । কুমোরটুলির কিছু কিছু ঘরে দুর্গাপ্রতিমা তৈরি হলেও অধিকাংশ মৃৎশিল্পী তাদের স্টুডিওতে এখনও প্রতিমা তৈরি শুরু করেননি । যারা করেছেন তারা বড় দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করার সাহস দেখাতে পারছেন না । ছোটো একচালার প্রতিমা তৈরি করেছেন ।

মৃৎশিল্পী প্রদীপ পাল বলেন, ‘‘কিছু ছোটো একচালার দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছি ৷ এখনও সেভাবে বায়না হয়নি । বাড়ির পুজোর জন্যে দুর্গা প্রতিমা বায়না করতে এসেও কোরোনার ভয়ে অনেকেই সাহস পাচ্ছেন না । বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলোর সাড়া মিলছে না ।’’ আর এক মৃৎশিল্পী বঙ্কিম পাল বলেন, ‘‘অনেকেই আসছেন । কিন্তু কেউ বায়না করছেন না ৷’’

মৃৎশিল্পী বঙ্কিম পাল বলেন, ‘‘লকডাউন মানে আমাদের পুরো পুরি লকডাউন । গত 3-4 মাসে কোনও পুজো হয়নি । দুর্গা প্রতিমার বায়নাও হয়নি ।’’ কোরোনার কারণে পুজোনেই । তাই রোজগার বন্ধ মৃৎশিল্পীদের । বাধ্য হয়ে স্টুডিওর সামনে পানের দোকান দিয়েছেন অনেকে । কবে কোরোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, পুজো পার্বন শুরু হবে সেদিকেই তাকিয়ে মৃৎশিল্পীরা ।

কোচবিহার, 15 অগাস্ট : শরৎ আসন্ন ৷ নদীর তীরে অল্প বিস্তর দেখা যাচ্ছে কাশফুল ৷ নীল আকাশে মাঝে মাঝেই ভাসছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ৷ আর এই সবই মনে করাচ্ছে সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে । কিন্তু মন ভালো নেই কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের । কোরোনার কারণে এবার এখনও প্রতিমার বায়না হয়নি । আদৌ কোচবিহার জেলাতে এবার দুর্গা পুজো হবে তো? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন মৃৎশিল্পীদের কাছে ।

কোচবিহার এর হেডপোস্ট অফিসের পেছনে এবং দিনহাটার শীতলাবাড়িতে রয়েছে কুমোরটুলি । স্বাধীনতার পরবর্তীতে ওপার বাংলা থেকে এপারে এসে প্রতিমা বানানোর কাজ করেন মৃৎশিল্পীরা ৷ পূর্ব পুরুষদের সেই পেশা এখনও ধরে রেখেছেন কয়েকজন মৃৎশিল্পী ।

এখানের তৈরি দুর্গাপ্রতিমা কোচবিহার জেলার বিভিন্ন মহকুমার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা আলিপুরদুয়ার এবং নিম্ন অসমের ধুবড়ি, কোকরাঝাড়, বঙ্গাইগাও, বিজনি সহ বিভিন্ন এলাকায় যায় । মহালয়ার আগেই ওইসব এলাকার পুজো মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা চলে যায় । তাই বৈশাখ মাস থেকেই কুমোরটুলির বিভিন্ন ঘরে দুর্গাপ্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয় ।

বায়না হয়নি দুর্গা প্রতিমার, আশঙ্কায় কোচবিহারের কুমোরটুলি

শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে অধিকাংশ দুর্গাপ্রতিমার 70 শতাংশ কাজ হয়ে যায় । পাশাপাশি বায়নাও সম্পূর্ণ হয়ে যায় । কিন্তু কোরোনা পরিস্থিতির কারণে এপ্রিল মাস থেকে সমস্ত পুজো বন্ধ রয়েছে । কুমোরটুলির কিছু কিছু ঘরে দুর্গাপ্রতিমা তৈরি হলেও অধিকাংশ মৃৎশিল্পী তাদের স্টুডিওতে এখনও প্রতিমা তৈরি শুরু করেননি । যারা করেছেন তারা বড় দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করার সাহস দেখাতে পারছেন না । ছোটো একচালার প্রতিমা তৈরি করেছেন ।

মৃৎশিল্পী প্রদীপ পাল বলেন, ‘‘কিছু ছোটো একচালার দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছি ৷ এখনও সেভাবে বায়না হয়নি । বাড়ির পুজোর জন্যে দুর্গা প্রতিমা বায়না করতে এসেও কোরোনার ভয়ে অনেকেই সাহস পাচ্ছেন না । বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলোর সাড়া মিলছে না ।’’ আর এক মৃৎশিল্পী বঙ্কিম পাল বলেন, ‘‘অনেকেই আসছেন । কিন্তু কেউ বায়না করছেন না ৷’’

মৃৎশিল্পী বঙ্কিম পাল বলেন, ‘‘লকডাউন মানে আমাদের পুরো পুরি লকডাউন । গত 3-4 মাসে কোনও পুজো হয়নি । দুর্গা প্রতিমার বায়নাও হয়নি ।’’ কোরোনার কারণে পুজোনেই । তাই রোজগার বন্ধ মৃৎশিল্পীদের । বাধ্য হয়ে স্টুডিওর সামনে পানের দোকান দিয়েছেন অনেকে । কবে কোরোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, পুজো পার্বন শুরু হবে সেদিকেই তাকিয়ে মৃৎশিল্পীরা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.